ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

ক্যানসার-ডায়াবেটিসসহ ৭১টি জরুরি ওষুধের দাম বেঁধে দিলো ভারত

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ১৬ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১১:৪৮, ১৬ জুলাই ২০২৫

ক্যানসার-ডায়াবেটিসসহ ৭১টি জরুরি ওষুধের দাম বেঁধে দিলো ভারত

ভারতের  শীর্ষ ওষুধমূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা — ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA) — ৭১টি ওষুধ ফর্মুলেশনের দাম নির্ধারণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে একাধিক ডায়াবেটিসের ওষুধ এবং বহুল ব্যবহৃত একটি ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ। ড্রাগ (প্রাইস কন্ট্রোল) অর্ডার (DPCO), ২০১৩ অনুযায়ী সংস্থাকে দেওয়া ক্ষমতা ব্যবহার করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ওষুধের সংমিশ্রণ, মাত্রা এবং প্রস্তুতকারক অনুযায়ী আলাদাভাবে এই দাম নির্ধারণ করে NPPA।

কোন কোন ওষুধের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে?

এই ৭১টি ফর্মুলেশনের মধ্যে রয়েছে একাধিক অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধ এবং সেগুলোর সংমিশ্রণ। এর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিসের ওষুধ এমপাগ্লিফ্লোজিনের (Empagliflozin) বিভিন্ন সংমিশ্রণ, যা চলতি বছর পেটেন্টমুক্ত হয়েছে, এবং DPCO-র আওতাভুক্ত পুরনো ওষুধগুলোর সঙ্গে একত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ধরনের সংমিশ্রিত অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ওষুধের দাম প্রতি ট্যাবলেট ১৪ থেকে ৩১ রুপির মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া, ক্যানসারের ওষুধ ট্রাস্টুজুম্যাব (Trastuzumab)-এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ভায়াল ১১,৯৬৬ রুপি — যা Reliance Life Sciences প্রস্তুত করে। এই ওষুধটি ‘ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনশিয়াল মেডিসিনস’ (NLEM)-এর অন্তর্ভুক্ত এবং তাই DPCO অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত মূল্যের তালিকায় রয়েছে।

অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ সেফট্রিয়াক্সোন (Ceftriaxone)-এর বিভিন্ন সংমিশ্রণের দাম প্রতি ভায়াল ৫১৫ থেকে ১,০৩৬ রুপির মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্যারাসিটামলের একাধিক ফর্মুলেশনের দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সাসপেনশন ফর্মের দাম প্রতি মিলিলিটার ০.৬৬ রুপি। আর মাসিক ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ মেফেনামিক অ্যাসিডের সাসপেনশন ফর্মের দাম নির্ধারণ হয়েছে প্রতি মিলিলিটার ০.৯৪ রুপি।

এর আগে গত এপ্রিলে দেশে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যাবশ্যকীয় ৭৪৮টি ওষুধের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সূচক মেনে ওই ওষুধগুলির ‘এমআরপি’-র উপরে ১.৭৪ শতাংশ হারে দাম বৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল এনপিপিএ। ওই তালিকায় ছিল প্যারসিটামল, কাশি, ব্লাডসুগার, বাত, কৃমি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ঘুম, ভিটামিন, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সাধারণ রোগের ওষুধ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক-সহ বিভিন্ন রোগের ট্যাবলেট, ইঞ্জেকশন।

তার আগে গত বছরের অক্টোবরে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অ্যাজ়মা, গ্লকোমা, থ্যালাসেমিয়া, যক্ষ্মা ও মানসিক অসুস্থতার ওষুধ-সহ আটটি অবশ্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি বৃদ্ধিতে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্রের এই সংস্থা।

 

সানজানা

আরো পড়ুন  

×