ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

গানের পরিবেশে বড় হয়েছি

আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০২, ১৬ জুলাই ২০২৫

গানের পরিবেশে বড় হয়েছি

দোলা রহমান

সংগীতশিল্পী দোলা রহমান। শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমার ‘চাঁদ মামা’ গান গেয়ে রীতিমতো হইচই ফেলে দেন তিনি। এর আগে তার গাওয়া গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনে ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি ২’, বলিউড গায়ক পাপনের সঙ্গে ‘মন দরিয়া’, সুফি ধাচের ‘তোমারই মোহে’, আইটেম গান ‘রাজা রানী’, ‘আমি দোলা’সহ বেশকিছু গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। এবার ‘অপেক্ষা’ নিয়ে আসছেন দোলা। গান ও নানা বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাজমুন নাহার নিশি
নতুন গান ‘অপেক্ষা’র সম্পর্কে জানতে চাই...
খেয়াল করলে দেখবেন, একজন শিল্পীর একটি গান সুপারহিট হলে তিনি সেই ধারার গানই পর পর করতে থাকেন বা তাকে নিয়ে করানো হয়। কিন্তু আমি আসলে কোন নির্দিষ্ট ঘরানায় আটকে থাকতে চাই না। তাই ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সফট রোমান্টিক, স্যাড মেলোডি, সেমি ক্ল্যাসিক্যাল, আইটেম গান, এমনকি সুফি ধাচের গানও করে আসছি। তাই ‘চাঁদ মামা’র মতো জমজমাট নাচের গানের পর আমি আর ওই ধাচের আরেকটি গান করতে চাইনি। ‘অপেক্ষা’ গানটি একেবারেই আলাদা ‘চাঁদ মামা’ থেকে। সফট মেলোডিয়াস একটা গান, সুরে অবশ্য ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের আমেজ রয়েছে।
আপনার গানে ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের প্রভাব পাওয়া যায়। ছোটবেলায় কি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের তালিম নিয়েছেন?
হ্যাঁ, বুঝতে শেখার আগে থেকেই ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকে আমার হাতেখড়ি। আমার গুরু ওস্তাদ কাজল দেব। আসলে আমার পুরো পরিবারেই গানের পরিবেশ ছিল। আমার বাবা সাইদুর রহমান মানিক ঢালিউডের সফল একজন প্রযোজক। ‘পরান পাখি’, ‘অবরোধ’, ‘রাজত্ব’, ‘দেহরক্ষী’র মতো ব্যবসাসফল সিনেমা তিনি প্রযোজনা করেছেন। সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকেই বাড়িতে নায়ক মান্না, অভিনেতা রাজীবসহ অনেককে আসতে দেখেছি। গানের জন্য আসতেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন আলীর মতো মানুষেরা। ভালোবাসা থকেই বাবা আমাকে গান শেখান। তবে অদিত ভাইয়া কখনো গান শেখেননি। তার মেধা পুরোটাই সৃষ্টিকর্তাপ্রদত্ত বলে মনে করি।
একবার উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী রুনা লায়লার প্রশংসা পেয়েছিলেন বলে শুনেছি...
ঠিকই শুনেছেন। ঘটনাটা ২০১৮ সালে। বাবার প্রযোজিত ও কাজী মারুফ অভিনীত ‘মানিক রতন’ সিনেমায় অদিত ভাইয়ার সুরে রুনা লায়লা ম্যাডাম আর কুমার বিশ্বজিৎ স্যার একটি গান করেছিলেন। ‘মনপাখি’ নামের সেই গানটি এখনো ইউটিউবে গেলে শুনতে পাবেন। তো, ওই সময় ভাইয়ার গানগুলোতে বড় শিল্পীরা ভয়েস দেবার আগে আমি ডামি ভয়েস দিতাম। যেদিন রুনা ম্যাডাম ফাইনাল ভয়েস দিতে এসেছিলেন, সেদিন উনাকে প্রথমবার দেখব বলে আমিও স্টুডিওতে গিয়েছিলাম। আমার ডামি ভয়েসটি শুনেই উনি বলেছিলেন, ‘ও তো খুব ভালো গেয়েছে, আমাকে আবার কেন গাইতে হবে?’ পরে উনাকে আব্বু আর ভাইয়া কনভিন্স করে গানটি করান। কিন্তু তিনি আমার গানের যেভাবে প্রশংসা করেছিলেন, সেদিনই বুঝেছিলাম উনি কেন এতবড় শিল্পী। ভালোকে ভালো বলতে বা প্রশংসা করতে উনার মধ্যে কোন কার্পণ্য দেখিনি।

প্যানেল/মো.

×