ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৩ যুগ ধরে জনপ্রিয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বিখ্যাত ‘চুনিলালের রাজভোগ’

মোঃ আতিকুল ইসলাম, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৩ মে ২০২৫

৩ যুগ ধরে জনপ্রিয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের বিখ্যাত ‘চুনিলালের রাজভোগ’

ছবি: জনকণ্ঠ

প্রায় তিন দশক ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে চুনিলালের তৈরি বিশেষ মিষ্টি ‘রাজভোগ’। দেখতে সাধারণ মিষ্টির মতো হলেও, সম্পূর্ণ দুধের ছানায় তৈরি এই রাজভোগের ভেতরটা থাকে তুলতুলে ও নরম, মুখে দিলেই গলে যায়। 

মিষ্টির জগতে স্বাদ ও গঠনে নতুনত্ব এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাসিন্দা সুনিল মল্লিক ওরফে চুনিলাল (৭০) তিন যুগ ধরে সুনামের সঙ্গে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্বাদ ও সাইজের জন্যই মিষ্টিটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাজভোগ’। অরুয়াইল বাজারের ছোট্ট একটি দোকানে তৈরি এই মিষ্টির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে, এমনকি বিদেশেও। প্রতিদিন বহু মানুষ রাজভোগের স্বাদ নিতে এবং আত্মীয়-স্বজনের জন্য উপহার হিসেবে পাঠাতে ছুটে আসেন অরুয়াইল বাজারে। প্রতিটি রাজভোগের ওজন প্রায় ১৫০ গ্রাম এবং বর্তমানে এর দাম রাখা হয় ৫০ টাকা।

এ বিষয়ে চুনিলালের ছেলে গোপাল মল্লিক জনকণ্ঠকে বলেন, “আমরা লাভের চিন্তা না করে, মানুষকে ভালো ও খাঁটি মিষ্টি খাওয়ানোর উদ্দেশ্যে পরিমাণমতো রাজভোগ তৈরি করি। আমাদের রাজভোগে ৯৯ ভাগ থাকে দুধের ছানা আর ১ ভাগ ময়দা। মিষ্টি একটু ফোলার জন্যই সামান্য ময়দা দেওয়া হয়। ভেজালমুক্ত হওয়ায় মানুষ খেতে পছন্দ করে।”

জানা যায়, পাশ্ববর্তী নাসিরনগর উপজেলার গৌরাঙ্গ রায়ের কাছ থেকে দুধের ছানা দিয়ে রাজভোগ তৈরির কৌশল শিখেছিলেন চুনিলাল। ১৯৮৮ সালে অরুয়াইল বাজারে একটি চায়ের দোকান দিয়ে শুরু হয় তার ব্যবসায়িক পথচলা। প্রথমে তিনি চা, পুরি, সিঙ্গারা বিক্রি করলেও পরে রাজভোগ তৈরি শুরু করেন। শুরুতে একাই কাজ করলেও বর্তমানে তার ছেলে গোপাল মল্লিকও এই কাজে সহযোগিতা করছেন।

চুনিলাল জনকণ্ঠকে বলেন, “প্রথমে ৫ টাকায় রাজভোগ বিক্রি করতাম। সময়ের সাথে সাথে পণ্যের দাম বাড়ায় এখন এর দামও বেড়েছে। আমি সীমিত লাভে ব্যবসা করি। লাভ কম হলেও মানুষ খেয়ে প্রশংসা করে—এটাই আমার সবচেয়ে ভালো লাগে।

×