ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

এখনও পর্যটকরা ঘুরে দেখেন 

কলাপাড়ায় রাখাইন বৌদ্ধবিহার মঠ ঠাকুরবাড়ি আদি ঐতিহ্য পুরাকীর্তি হারিয়ে যাচ্ছে

মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ১৫ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০০:২৪, ১৬ জুলাই ২০২৫

কলাপাড়ায় রাখাইন বৌদ্ধবিহার মঠ ঠাকুরবাড়ি আদি ঐতিহ্য পুরাকীর্তি হারিয়ে যাচ্ছে

এখনও পটুয়াখালীর সাগরপারের জনপদ কলাপাড়ার আদি ঐতিহ্য রাখাইনদের জীর্ণদশার বৌদ্ধবিহার, মঠ ও ঠাকুরবাড়ি গুলো এখানে ভ্রমনে আসা পর্যটকরা ঘুরে দেখেন। খুঁজে বেড়ান এসব পুরাকীর্তির পেছনের ইতিহাস। কিন্তু রাখাইনদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকহাওে বিলোপ চরম দারিদ্র্য ও বৈষম্যেও কারণে এসব পুরাকীর্তি তাদের পক্ষে যথাযখভাবে সংরক্ষণ করতে না পারায় এসব ক্রমশ বিলোপ হয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে যেতে বসেছে আদি ঐতিহ্য রাখাইন বৌদ্ধবিহার মঠ ও ঠাকুরবাড়ি। সরকারি হিসাবে এখানে এখনও অন্তত ২০টি বৌদ্ধবিহার ও মঠ রয়েছে। এর মধ্যে কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল ও মিশ্রিপাড়ার সীমা বৌদ্ধবিহার যথাযথ সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বাকি সবের অবস্থা চরম বেহাল জীর্ণদশার।

এককালের দাপুটে এই জনগোষ্ঠী সাগরপারের কলাপাড়ার রাখাইন সম্প্রদায় এখন ক্ষয়িষ্ণু জাতিতে পরিণত হয়েছে। এ জনগোষ্ঠীকে এখন খুঁজে বের করতে হয়। সরকারিভাবে বলা হচ্ছে ণৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী। কালের বিবর্তনের মতো ঝড়ঝঞ্ঝা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণহানি, জমিজমা-বৌদ্ধবিহার-মঠ এমনকি শ্মশানের জমি পর্যন্ত দখল হওয়া, কৃষ্টি-কালচারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে না চলতে পারায় এরা কেউ দেশ ছেড়েছেন। কেউবা এলাকা ত্যাগ করে পাহাড়ি অঞ্চলে চলে গেছেন। নামে মাত্র মূল্যে জমি বিক্রি করে এরা এখন প্রতিকীর মতো বসবাস করছেন। রয়েছে নামে মাত্র ২৮টি রাখাইন পল্লী। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় শুধুমাত্র কলাপাড়ায় ছিল ১৫০টি রাখাইন পল্লী। রাখাইন জনসংখ্যা ছিল অন্তত পাঁচ হাজার। বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ১১৬৯ জন।

জনসংখ্যা বিলুপ্তির পাশাপাশি রাখাইনদের ঐতিহ্যবাহী পুরাকীর্তিগুলো এখন নিশ্চিহ্নের দ্বারপ্রান্তে। চরম দারিদ্র্য। পুরোহীত না থাকা। বৌদ্ধমুর্তিগুলো চুুরিসহ হারিয়ে যাওয়া। বৌদ্ধবিহার সংস্কার করতে না পারা। ঠাকুরবাড়ি ধ্বংশ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় রাখাইনদের বৈচিত্রময় ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধবিহার ও ঠাকুরবাড়িগুলো এখন হারিয়ে যাচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় কিংবা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পারে এসব সংরক্ষণের উদ্যোগ নিলে পর্যটনসমৃদ্ধ কলাপাড়া উপজেলার এসব পুরাকীর্তি আদি ঐতিহ্য সংরক্ষিত হবে। নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে প্রকৃত ইতিহাস ও ঐতিহ্য। আর এসব ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষা না করতে পারলে কুয়াকাটার প্রকৃত উন্নয়ন হবে না। কারণ কুয়াকাটায় আসা পর্যটক দর্শনার্থীরা এসব অবলোকন কিংবা দর্শন করার সুযোগ না পেলে কুয়াকাটামুখি পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে। সরকারিভাবে পর্যটন সমৃদ্ধ কলাপাড়ায় সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কুয়াকাটার উন্নয়নে চলমান রয়েছে কর্মকান্ড। রাখাইনদের জীবন-মানের উন্নয়নেও সরকারের সহায়তা রয়েছে। কিন্তু এসব ঐতিহ্য পুরাকীর্তি সংরক্ষণে সঠিক কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে এসব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিলোপ ঘটছে এক এক করে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ক্রমশ রাখাইন জনগোষ্ঠীর বিলোপের বিভিন্ন কারণ। সেইসঙ্গে তাদের কৃষ্টি-কালচারও হারিয়ে যাচ্ছে। বিলোপ হচ্ছে তাদের পুরাকীর্তি। বালিয়াতলী ইউনিয়নের পক্ষিয়াপাড়া রাখাইন পল্লীতে এক সময় ৮০ টি পরিবার ছিল। বর্তমানে পৌছেছে  মাত্র ১৫টিতে। বিগত ৩৫ বছরের চিত্র এটি। পদ্ম ফোটা পুকুরটি এখন ডোবায় পরিণত হয়েছে। বৌদ্ধবিহারটির জীর্ণদশা। পুঁজো করার বৌদ্ধমুর্তি নেই। বিহারের পলেস্তরা খসে পড়ছে। চুনকাম করার পরও যেন শ্রীহীন। জৌলুশ নেই। ঠাকুরবাড়িটি ছাড়াবাড়িতে পরিণত হয়েছে। ঠাকুর (পুরোহীত) নেই। টং ঘরটি কুঁজো হয়ে পড়ে আছে। যেন বিধ্বস্তের দ্বারপ্রান্তে। ভিন্ন বৈচিত্রের এ নিদর্শন সংরক্ষণ না করলে আগামি দুই এক বছরে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তারপরও এপল্লীর রাখাইনরা এ বিহারে এসে ধর্মীয় আচার পালন করেন। সকলের এক  কথা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।

খাপড়াভাঙ্গা নদীর উত্তরপাড়ের ইউনিয়নটির নাম ছিল খাপড়াভাঙ্গা। বর্তমানে দু’টি ইউনিয়ন করা হয়েছে। তাইতো ঠিকানা ডালবুগঞ্জ। গ্রামটি খাপড়াভাঙ্গা রয়ে গেছে। এ গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশেই একটি রাখাইন মঠসহ বৌদ্ধবিহার। জানা গেল, প্রায় দুশ’ বছরের প্রাচীণ বৌদ্ধ মন্দিরটি মঠসহ সংরক্ষণের প্রাথমিক উদ্যোগ নেয়ার দশ বছর পরও কিছুই করা হয়নি। উল্টো ২০১২ সালে দেয়া সাইনবোর্ডটিও উধাও হয়ে গেছে। রাখাইন পাড়ার জীর্ণদশার এই বিহারটি এখন চরম বেহালদশা হয়ে গেছে। মঠের উপরের অংশ অনেকটা ভেঙে গেছে। মন্দিরটির স্থাপনাশৈলীতে রয়েছে প্রাচীন আদল। রাখাইনরা এই বৌদ্ধ বিহার কিংবা মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের প্রতি দাবি করে আসছিল। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় অফিসের একটি টিম ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে ওই এলাকা পরিদর্শন করে চুড়ান্ত একটি প্রতিবেদন প্রস্তাবনা আকারে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছেন বলে তখন জানিয়েছিলেন। ওই টিমের প্রধান খুলনা অফিসের সহকারী গবেষক গোলাম ফেরদৌস বিষয়টি তখন নিশ্চিত করেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাগরপারের এই জনপদের রাখাইন জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্য ধরে রাখার লক্ষ্যেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আর বৌদ্ধ মন্দিরটির স্বকীয়তা বজায় রেখে সংস্কার করলে এখানে দেশি-বিদেশী পর্যটকের আগমন ঘটবে। গৌতম বুদ্ধের দেহধাতু যেমন, চুল ও নখের উপাদানের উপরে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে বলে তিনি প্রবীণ রাখাইনদের কাছ থেকে জেনে নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, বাংলাদেশে এই আদলের আরেকটি মন্দির রয়েছে রামুতে। রাখাইন জমিদার ম্রাথা চৌধুরী ইংরেজদের কাছ থেকে জমি পত্তন নিয়ে খাপড়াভাঙ্গায় বৌদ্ধমন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেও গোলাম ফেরদৌস জানিয়েছিলেন।

পক্ষিয়াপাড়ার বাসিন্দা রাখাইন প্রয়াত বাবু ট্যানথান তখন জানিয়েছিলেন, এই বৌদ্ধ মান্দরটি বৌদ্ধদের আদী থেরোবাদ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। ভিন্নতর কিছু বৈশিষ্টও রয়েছে মন্দিরটিতে। যা ভারতের বিহারের বৈদ্যগয়ার সম্রাট অশোকের আমলে প্রতিষ্ঠিত কিছু মন্দিরের সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। পর্যটন সমৃদ্ধ কলাপাড়ার পর্যটন পল্লী গঙ্গামতি যাওয়ার পরে চরচাপলী বাজারের ঠিক উল্টোদিকে শিববাড়িয়া নদীর উত্তর পাড়ে বৌদ্ধমন্দিরটির অবস্থান। এখনও প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতা রয়েছে মঠটির। খাপড়াভাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত।
রাখাইনদের ভাষ্যমতে, এই জনপদের বনজঙ্গল সাফ করে বসতি গড়ে তোলার পরে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। ছিল মন্দিরের আশপাশে রাখাইনদের বাড়িঘর, পাড়া। এমনকি মন্দিরের ২০-২৫ হাত দুরে রাখাইন জমিদার মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা ম্রাথা চৌধুরীকে সৎকার করা হয়। সেই শ্মশানটিও বেদখল হয়ে গেছে। রাখাইনদের ওই স্পটে কোন বাড়িঘর এখন নেই। রয়ে গেছে বৌদ্ধমন্দিরটি। জীর্ণদশার মন্দিরটিতে ছিল গৌতমবুদ্ধের ধ্যানমগ্ন মুর্তি। ভেতরে কাঠের ও পাথরের অসংখ্য মুর্তি ছিল। এসবের একটিও নেই। নেই কোন দরজা। মন্দিরটি ইটগুলো জীর্ণদশার শেষ পর্যায়ে পৌছেছে। পলেস্তরাসহ ইটের গাঁথুনি খসে পড়ছে। চারদিকে পুরনো ইট-সুরকি ধুলির মতো উড়ে যাচ্ছে। ভেঙ্গে বেড়িয়ে গেছে লাল ইটের গাঁথুনি। কোন প্রাণীর কঙ্কালের মতো দেখায়। এখন ধসে পড়া সময়ের ব্যাপার। মঠের চারদিকে মাস্তুল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রজাতির বনজ গাছে সযলাব হয়ে ঢেকে গেছে। কাছাকাছি গেলে গা ছমছম করে। একধরনের ভৌতিক অবস্থার শিহরণ জাগায় মনে। মঠের উপরে সাপের বসবাস দেখতে পায় বলে স্থানীয়রা জানান। আশপাশের জায়গা সব দখল হয়ে গেলেও সাপের বসবাসের কারণে ভয়ে মন্দিরটি কেউ ভাঙ্গেনি বলে জনশ্রতি রয়েছে।

প্রাচীণ এই মন্দিরটি দেখতে এখনও কিছু পর্যটক আসেন এখানে। ২০১২ সালে বাঁশের কয়েকটি চেরা চারদিকে দেয়া ছিল। একটি সাইনবোর্ড লটকানো ছিল। যেখানে লেখা ছিল খাপড়াভাঙ্গায় অবস্থিত মন্দিরটি সংস্কার ও দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন বজন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাথেরো। তিনি চট্টগ্রাম জেলার ডাবলমুড়িং উপজেলার মোগলতুলি গ্রামের শাখ্যমান বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োজিত রয়েছেন। এখন বাঁশের বেড়া কিংবা ওই সাইনবোর্ডটি নেই। আর মন্দিরটি মঠসহ যে কোন সময় বিধ্বস্তের শঙ্কা করছেন রাখাইন জনগোষ্ঠী। প্রাচীণ এই পুরাকীর্তি রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন সচেতন মানুষ। এভাবে কুয়াকাটার ঘাটলায় গৌতমবুদ্ধের শয়নরত বুদ্ধমুর্তি রয়েছে অরক্ষিত অবস্থায়। পাশের জায়গা অর্ধেকটা দখল করে নেয়া হয়েছে। এভাবে অন্তত প্রত্যেকটি রাখাইন পল্লীতে একটি বৌদ্ধবিহার ও মঠসহ ঠাকুরবাড়ি রয়েছে। আমখোলা পাড়ার বৌদ্ধবিহার, মঠ ও ঠাকুরবাড়ি দেখতে প্রতিদিন পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু এসবের জীর্ণদশায় সবাই আশাহত হয় এই ভেবে যে, এসব প্রাচীন পুরাকীর্তি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। যাবে বিলুপ্ত হয়ে। রাষ্ট্রীয়ভাবে কলাপাড়ার উপকূলের রাখাইন জনগোষ্ঠীর এসব পুরাকির্তী এখনই সংরক্ষণ করা জরুরি। এসব বৌদ্ধবিহার, মঠ ও ঠাকুরবাড়ি সংস্কার করে রক্ষাণাবেক্ষণ করলে দর্শনার্থী-পর্যটক আকৃষ্ট হবে। সেক্ষেত্রে দর্শনফি’র মাধ্যমে আয়ের পথও তৈরি হবে। নইলে আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের সাগরপাড়ের কলাপাড়া উপকূলীয় জনপদের ইতিহাস ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে না এখানকার কৃষ্টি-কালচার। কুয়াকাটার উন্নয়নে এইসব পুরাকীর্তি রক্ষা করা জরুরি প্রয়োজন। মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধবিহার অধ্যক্ষ উত্তম ভিক্ষু জানান, ছোট-বড় নিয়ে কলাপাড়ায় ২৪টি বৌদ্ধবিহার ও মঠ রয়েছে। এসব পরিকল্পিতভাবে সংস্কার কওে সংরক্ষণ করা দরকার।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ারা আমখোলা রাখাইন পল্লীর বাসীন্দা মংম্যা জানান, এসব পুরাকীর্তি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি এই আদিবাসী নেতা তাদের শ্মশানগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি তাঁদের নামের সঙ্গে সঙ্গতি রাখা গ্রামগুলোর নামকরণ সংরক্ষণ করার দাবি করেন। তার মতে শ্মশানগুলোর চারদিকে পিলার দেওয়া হোক। সকল পাড়ার দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার করে বৌদ্ধবিহার ও মঠগুলো সংষ্কারের দাবি তার।
বাংলাদেশ জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২২ অনুসারে কলাপাড়ায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে মোট ৯১৬ জন। এর মধ্যে রাখাইনদের সংখ্যা বলা হয়েছে ৮২৫ জন। তবে এটি সঠিক নয় বলে রাখাইনদের দাবি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে (কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের আইডিপিডিসি প্রকল্পের জরিপ-২০২৪), কলাপাড়ায় ৩০৬টি রাখাইন পরিবার রয়েছে। যার মোট লোকসংখ্যা ১১৬৯ জন। এর মধ্যে ৫৯৩ জন পুরুষ এবং নারী ৫৭৬ জন। যেখানে ২১৭ জন শিশু রয়েছে। বর্তমানে রাখাইনদের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি তাঁদের কৃষ্টি-কালচার সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি তার। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, রাখাইন সংস্কৃতি সংরক্ষণে সরকারিভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কুয়াকাটা রাখাইন কালচালাল একাডেমী ভবনকে বহুতল ভবনে উন্নীতের প্রাথমিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমখোলাপাড়া বৌদ্ধবিহার সংস্কার কাজ চলছে। রাখাইন কল্যান তহবিল গঠণেরও পরিকল্পনা চুড়ান্ত করা হয়েছে। 

 

রাজু

×