
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য রয়েছে প্রকৃতির অসাধারণ অপার বিস্ময়। পাহাড়, সমুদ্র সৈকত, ঝরনা, মন্দির, ট্রেইল ও কৃত্রিম লেক—সবই এক জায়গায়। যাদের ব্যস্ত জীবনে বেশ কিছুদিন ছুটি নেই, তাদের জন্য একদিনের সীতাকুণ্ড ভ্রমণ হতে পারে সেরা বিকল্প।
জেনে নেওয়া যাক, সীতাকুণ্ডের কোন তিন জায়গায় একদিনেই ঘুরে আসা যায়—
১. চন্দ্রনাথ পাহাড়
চন্দ্রনাথ পাহাড় চট্টগ্রাম থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ার উচ্চতা ১১৫২ ফুট (৩৬৫ মিটার)। চূড়ায় একটি প্রাচীন শিব মন্দির আছে।
পাহাড় জয় করতে হলে পাড়ি দিতে হবে প্রায় ২২০০টিরও বেশি সিঁড়ি। কিছু সিঁড়ি পিচ্ছিল ও সংকীর্ণ হওয়ায় সতর্ক থাকতে হয়। ১৫ মিনিটে ছোট ঝরনা দেখা যাবে, সেখানে থেকে বামপাশের পথে চূড়ায় ওঠা সহজ।
চূড়ায় বিরুপাক্ষ নামক আরেকটি মন্দির রয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে সীতাকুণ্ড শহর ও সমুদ্রের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়।
সকালে ৮টার দিকে পৌঁছালে ১১টার মধ্যে পাহাড় জয় করা সম্ভব।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সীতাকুণ্ড বাস স্টপেজে নামুন। চট্টগ্রাম শহর থেকেও বাস পাওয়া যায়। সিএনজি বা অটো রিকশায় সহজেই যেতে পারবেন।
২. গুলিয়াখালী সি বিচ
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের পাশে বিশাল সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বন রয়েছে। সবুজ গালিচার মত ছোট গাছের টিলা ও সরু নালা জোয়ারের সময় পানিতে ভরে ওঠে।
সীতাকুণ্ড থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এই সৈকত প্রকৃতির অপার বিস্ময়। সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি না পেলেও প্রচুর পর্যটক এখানে ভিড় জমায়।
কিভাবে যাবেন:
সীতাকুণ্ড শহর থেকে সিএনজি বা অটোতে যাওয়া যায়, ভাড়া মাত্র ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। সৈকত থেকে নৌকায় সমুদ্র ঘুরে আসতেও পারবেন।
৩. মহামায়া লেক
মহামায়া লেক দেশের অন্যতম কৃত্রিম জলাশয়। ১৯৯৯ সালে মহামায়া খালের ওপর স্লুইস গেট স্থাপনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে।
মীরসরাইয়ের ঠাকুরদিঘীর পাড় থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে পাহাড় পাদদেশে অবস্থিত এই লেকের আয়তন প্রায় ১১ বর্গ কিলোমিটার। এখানে রয়েছে ঝরনা, পাহাড় ও রাবার ডেম।
কিভাবে যাবেন:
মীরসরাই উপজেলা থেকে সিএনজি ভাড়া করে অথবা হেঁটে আসা যায়। প্রবেশমূল্য মাত্র ২০ টাকা। চারদিক সবুজে ঘেরা ইকো পার্কে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে এক অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করবেন।
মিমিয়া