ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

অবশেষে নকআউট পর্বে বার্সিলোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৪৩, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

অবশেষে নকআউট পর্বে বার্সিলোনা

ম্যানচেস্টার সিটির গোলদাতা আর্লিং হালান্ড

গত কয়েক মৌসুম ধরেই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রত্যাশিত পারফর্ম্যান্স প্রদর্শন করতে পারছে না বার্সিলোনা। চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমও খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। কাতালানদের পারফর্ম্যান্সে ধারাবাহিকতা নেই। মঙ্গলবার রাতে ‘এইচ’ গ্রুপে পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তোর বিরুদ্ধেও শুরুতে থমকে গিয়েছিল স্প্যানিশ লা লিগার চ্যাম্পিয়নরা। তবে শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়িয়ে অতিথি পোর্তোকে ২-১ গোলে হারিয়ে আসরের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বার্সা।  
এর ফলে তিন মৌসুমে এই প্রথমবারের মতো নকআউট রাউন্ডে খেলার সুযোগ পেয়েছে বার্সিলোনা। বর্তমানে গ্রুপে পাঁচটি করে ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা বার্সার ভান্ডারে জমা পড়েছে ১২ পয়েন্ট। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার পেপের গোলে ম্যাচের ৩০ মিনিটে এগিয়ে যায় সফরকারী পোর্তো। দারুণ লড়াই শেষে পর্তুগিজ জুটি জোয়াও ক্যান্সেলো ও জোয়াও ফেলিক্সের গোলে বার্সিলোনার জয় নিশ্চিত হয়। তারা গোল দুটি করেন করেন যথাক্রমে ম্যাচের ৩২ ও ৫৭ মিনিটে। বেনফিকার সাবেক এই জুটি তাদের সাবেক ক্লাবের বিরুদ্ধে বার্সাকে জয় উপহার দিয়েছেন।

ম্যাচ শেষে বার্সিলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেন, আমরা খুব খুশি। ভবিষ্যৎ প্রকল্পকে সামনে রেখে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ক্লাবের জন্যও এই ফলাফল ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আসবে। দল ক্রমেই উন্নতির দিকে এগোচ্ছে, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সত্যিকার অর্থেই ভালো একটি দলকে হারিয়েছি। এর আগের ম্যাচে হামবুর্গে শাখতার ডোনেস্কের কাছে হেরে বেশ চাপে পড়েছিল বার্সিলোনা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল ঘরোয়া আসরের ব্যর্থতা। যে কারণে শঙ্কা কাটিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত কাতালান তাবু।

অন্যদিকে এই হারে ‘এইচ’ গ্রুপে শাখতারের সঙ্গে সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পোর্তো। আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্তুগালে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে এ দু’দল মুখোমুখি হবে। আর ওই ম্যাচের তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। 
‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। তবে পরশু রাতে তাদের জিততে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কেননা পেপ গার্ডিওলার দল ঘরের মাঠে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগের বিরুদ্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েছিল। তবে পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে সিটিজেনরা।

এই ম্যাচে গোল করে সিটির নরওয়েজিয়ান তরুণ আর্লিং হালান্ড ইউরোপিয়ান সর্বোচ্চ ক্লাব আসরে দ্রুততম সময়ে ৪০ গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। ম্যাচের ১৩ ও ৩৩ মিনিটে লোয়িস ওপেন্ডার দুই গোলে লাইপজিগ এগিয়ে যায়। কিন্তু বিরতির পর ৫৪ মিনিটে হালান্ড, ৭০ মিনিটে ফিল ফোডেন ও ৮৭ মিনিটে জুলিয়ান আলভারেজের গোলে দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি। ম্যাচ শেষে ফোডেন স্বীকার করেছেন প্রথমার্ধে তারা বাজে ফুটবল খেলেছেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পুরো দল ফিরে এসে পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে দেয়। এই দলের মানসিকতার প্রশংসা করেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের মাঠে এ নিয়ে সিটি শেষ ২৯ ম্যাচের ২৭টিতেই জয় পেয়েছে। 
‘এফ’ গ্রুপে হারতে হারতে কোনোরকমে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইন (পিএসজি)। ম্যাচের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে (৯০+৮ মিনিট) কিলিয়ান এমবাপের বিতর্কিত পেনাল্টিতে ইংলিশ ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে প্যারিসের পরাশক্তিরা। এই ড্রয়ে নকআউটে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে পিএসজি। এই গ্রুপে এখন পর্যন্ত ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। তাদের থেকে তিন পয়েন্ট পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে পিএসজি। এ অবস্থায় গ্রুপের শেষ শ্যাচে ডর্টমুন্ডকে হারাতে পারলেই নকআউট পর্বে উঠবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে ঘরের মাঠে মিলানকে শুধু হারালেই হবে না, পিএসজির হারের অপেক্ষায় থাকতে হবে নিউক্যাসলকে।

×