ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ইউনিটেক শতভাগ চাকরি ও স্বনির্ভর উচ্চশিক্ষার মডেল

ড. মো. আকতারুজ্জামান

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২১ এপ্রিল ২০২৪

ইউনিটেক শতভাগ চাকরি ও স্বনির্ভর উচ্চশিক্ষার মডেল

.

কর্ম এবং শিক্ষার জগ ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বজুড়ে মিলে যাচ্ছেশিক্ষাকে শুধু জ্ঞান সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে চিন্তা না করে বরং আমাদের সাধারণ শিক্ষা ও কর্মমুখী শিক্ষার সমন্বিত পদ্ধতির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে৪র্থ বলেন আর ৫ম বলেন কোনো শিল্পবিপ্লবের যুগেই রোবট এসে আপনার বাড়ির পানি বা বিদ্যুতের লাইন ঠিক করবে নাতাই কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব দিন দিন বাড়বেএকজন গ্রাজুয়েটের দেশে ও বিদেশে চাকরি বা উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা যদি ১৯% হয়, তবে সেটা ৯১% হবে ডিগ্রির সঙ্গে কমপক্ষে ২টি কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন করা থাকেআর উন্নত দেশে তাদের বেতন ৬-৮ হাজার ডলারের কম নয়, সামাজিক মূল্যায়নেও তেমন কোনো পার্থক্য নেই

বৈশ্বিক বাণিজ্যিক বিশ্বে শিক্ষা এখন শুধু সেবা নয়, ব্যবসাওইউনিটেক মডেলটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পলিটেকনিক ও ইন্ডাস্ট্রির মতো কারিগরি খাতের মধ্যে সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে তৈরিমডেলটি প্রাথমিকভাবে ব্যবসায় মনোনিবেশ না করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি টেকসই পর্যায়ে উন্নীত করবে এবং চাকরির জন্য প্রস্তুত এমন গ্র্যাজুয়েট তৈরি করবে৫-১০ বছরের মধ্যে মডেলটি পরিপক্ব হলে এটি বিদেশী শিক্ষার্থীদের থেকে যথেষ্ট বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ তৈরি করবেগত এক দশক ধরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে, তাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে এবং আমরা যেভাবে করি অথবা অবদান রাখি তা অনুসরণ করে আসছিবেশ কয়েকটি ফেলোশিপের অধীনে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অনেক স্কুল ও কলেজে যাওয়ার এবং তাদের নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পেয়েছিএই অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ ও দেশ সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার আলোকে মনে হয়েছে যে, অদূর ভবিষ্যতে আমাদের উচ্চশিক্ষার একটি বড় পরিবর্তন দরকার হতে পারে

ধরুন একজন বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা মেডিক্যালের গ্র্যাজুয়েট অস্ট্রেলিয়া বা কানাডায় চলে গেছেন এবং ঐ দেশে ভালো উপার্জন করছেনতখন তারা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি একবারে বা কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারেনবাংলাদেশে কর্মরত গ্র্যাজুয়েটরা ভালো বেতন না পেলে আংশিক ছাড় পেতে পারেনমূল কথা হলো প্রত্যেককে সাধ্যমতো তাদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের জন্য অবদান রাখতে হবেআবার ধরুন একটা ক্লাসে ১০০ জনের মধ্যে ১০-২০ জন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা অফিসার হয়, বাকি ৮০-৯০ জন কোথায় যাবে? অনেক ক্ষেত্রে রেজাল্টের সঙ্গে চাকরির ক্লাস সম্পর্কযুক্ত নয়কেউ কেউ ভারতের উদাহরণ দেন- ওদের ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি প্রফেশনাল কতজন বিদেশ যায় আর অন্য সাধারণ জনতা কতজন যায়, একটু হিসেব করলেই দেখতে পাবেন সেটা ১:৪ এর মতোক্লাসের ওপরের সারির ১০-২০ জনের চিন্তার পাশাপাশি ৮০-৯০ জনের ভবিষ্য চিন্তা করা উচিতআমরা সাধারণ শিক্ষায় পড়ে শিক্ষিত বেকার হব, দেশ ও পরিবারের বোঝা হব, তবুও কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করব না- এ মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবেদেশের প্রধান আয়ের উস গার্মেন্টস ও রেমিটেন্সতাই অফিসারের চেয়ে দক্ষ শ্রমিক বেশি প্রয়োজনআমাদের উচ্চশিক্ষাকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর এটিই সঠিক সময়, সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এর প্রভাব বা অবদানকে নিয়মিতভাবে মূল্যায়ন করার জন্য জাতীয় বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং উদ্যোক্তা (NISE3) সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে

এটি সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষার সমন্বিত পদ্ধতিএক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ভালো কমিউনিকেশনের সঙ্গে দুটি স্বীকৃত দক্ষতা বা সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ করতে হবেভর্তির প্রথম বছরে ইংরেজি কোর্সে আইইএলটিএস বা সমমানের দক্ষতা অর্জন করতে হবেদুটি প্রাসঙ্গিক বা ভিন্ন খাতের সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরে সম্পন্ন করা যেতে পারেউদাহরণস্বরূপ, একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র অটোমোবাইল এবং ড্রাইভিংয়ের ওপর দুটি ট্রেড কোর্স সম্পন্ন করতে পারেনএকজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং এবং প্লাম্বিং-এর দুটি ট্রেড কোর্স সম্পন্ন করতে পারেনএকজন সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র গ্রাফিক্স, অ্যানিমেশন ও ভিডিও এডিটিং এবং কার্পেনট্রি-এর ওপর দুটি কোর্স সম্পন্ন করতে পারেন

চূড়ান্ত বর্ষে শিক্ষার্থীরা ইন্টার্নশিপ অথবা অন্য আরেকটি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের কথা বিবেচনা করতে পারেনযেমন আরবি, ফ্রেঞ্চ বা জার্মানশিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেশন বা ট্রেড কোর্সের জন্য অনেক কোর্সের পুল থেকে বেছে নিতে পারেনতবে অর্জিত দক্ষতার লেভেলটি অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের হওয়া উচিতএটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি-ইন্ডাস্ট্রি সেক্টরগুলোতে সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করেপ্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বা অধিভুক্ত পলিটেকনিক ও ভালো ইন্ডাস্ট্রি সংযোগ থাকা উচিতউদাহরণস্বরূপ, অস্ট্রেলিয়াতে ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে ভিক্টোরিয়া পলিটেকনিক আছে, আরএমআইটি ইউনিভার্সিটিতে আছে আরএমআইটি টেইফ, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটিতে আছে সুইনবার্ন টেইফ এবং ফেডারেশন ইউনিভার্সিটিতে ফেডারেশন টেইফ ইত্যাদি, যেখানে টেইফ অনেকটা বাংলাদেশের পলিটেকনিকের মতো কারিগরি এবং চলমান শিক্ষার প্রতিষ্ঠানএকইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার জন্য তাদের অধিভুক্ত কমিউনিটি কলেজ রয়েছেএই পলিটেকনিক, টেইফ বা কমিউনিটি কলেজগুলোতে দক্ষতাভিত্তিক সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামগুলোর পুল রয়েছে, যেগুলো থেকে যে কেউ, এমনকি একজন পিএইচডি গ্র্যাজুয়েট বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দক্ষতা উন্নয়নের জন্য যেকোনো সময় কোর্স করতে পারেনআপনি নিশ্চয়ই তিনবার পিএইচডি বা মাস্টার্স করতে পারবেন নাতবে যখনই প্রয়োজন হবে একটি সার্টিফিকেট কোর্স করতে পারেন, চাকরির পাশাপাশিহার্ভার্ড বা অক্সফোর্ডের মতো বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনুমোদিত পলিটেকনিক নাও থাকতে পারে, তবে তাদের শক্তিশালী ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক রয়েছেতাই স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে চাকরির জন্য প্রস্তুত গ্র্যাজুয়েট তৈরি করতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত

এটি ফ্লেক্সিবল ব্লক ও কর্মমুখী শিক্ষাক্রম প্রণয়নের মাধ্যমে কাজ করেশিক্ষাক্রম ফ্লেক্সিবল, প্রয়োজনভিত্তিক এবং সময়োপযোগী হওয়া উচিতবিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর ডিগ্রির তৃতীয় বর্ষ এবং মাস্টার্সের শুরু থেকে ফ্লেক্সিবল ব্লক মোড প্রবর্তন করা যেতে পারে, যেখানে শিক্ষার্থীরা কলা ও মানবিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া অধ্যয়নের ক্ষেত্রে ৪ সপ্তাহে (পূর্ণ-সময় এবং খ-কালীন) একটি কোর্স করতে পারেবিজ্ঞান ও ব্যবসায়, প্রকৌশল, আইটিতে ৮ সপ্তাহে (পূর্ণ-সময়) দুটি কোর্স বা ৮ সপ্তাহে (খন্ডকালীন) একটি কোর্স করতে পারে

এ ধরনের ফ্লেক্সিবিলিটি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ-সময় অধ্যয়ন করার পাশাপাশি খ-কালীন কাজ করতে সক্ষম করে- এমনটি উন্নত বিশ্বে বেশ প্রচলিতএটি শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের সময় কাজে নিযুক্ত হয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং স্নাতক শেষ করার পরে কর্মক্ষেত্রে আরও ভালো করতে সাহায্য করেআজকাল আপনি উন্নত বিশ্বে খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় খুঁজে পাবেন না যারা মাস্টার্স বাই রিসার্স অফার করেএর পরিবর্তে তারা মাস্টার্স বাই কোর্সওয়ার্ক এবং গবেষণা শুধু পিএইচডিতে করেলাখ লাখ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এই ফ্লেক্সিবল মাস্টার্স প্রোগ্রামে আকৃষ্ট হয়, যা মূলত চাকরির জন্য প্রস্তুত গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেব্যাচেলর প্রোগ্রামের মতো এই মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলো এখন তাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিআমাদের শিক্ষার্থীদের স্নাতকের ৩য় বর্ষ ও মাস্টার্সের শুরু থেকে প্রতি সেমিস্টারে ৪টির বেশি কোর্স অধ্যয়ন করা উচিত নয়একাডেমিক ব্যাংক অব ক্রেডিটস (অইঈ) স্কিমের অধীনে প্রাসঙ্গিক সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত হলে কিছু কোর্স মওকুফ করা যেতে পারেউদাহরণস্বরূপ সিসকো সার্টিফাইড নেটওয়ার্ক এসোসিয়েট এর জন্য একটি মৌলিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কোর্স বা বেসিক ডাটাবেস কোর্সের জন্য ওরাকল সার্টিফিকেশন, ইত্যাদি

টেকসই উচ্চশিক্ষা অবদান প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থায়ন কিভাবে হতে পারেঅস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, কানাডা বা যুক্তরাষ্ট্রে, চিকিসা বিজ্ঞানে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের গড় টিউশন ফি বাংলাদেশী টাকায় ২-৩ কোটি, প্রকৌশল এবং আইটিতে ১.৫-২.০ কোটি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১ কোটির কম নয়মাস্টার্স প্রোগ্রাম ০.৫-১.০ কোটির মধ্যেসাবজেক্ট এরিয়া বিষয়ক টিউশন ফির জন্য ব্যান্ড নির্ধারণ করা হয় সেখানেদেশের প্রেক্ষাপটে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র‌্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্কের (এনআইআরএফ) আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ৩-৪টি ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবদ্ধ করে, তার পরে ৫-৭টি সাবজেক্ট ব্যান্ডের ওপর ভিত্তি করে সরকারি ভর্তুকি এবং পূর্ণ-ফির অপশনগুলো বিবেচনা করা যেতে পারেউদাহরণস্বরূপ ধরুন, বাংলাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি হলো ১৫ লাখ টাকা, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য ১০ লাখ এবং অন্যান্য স্নাতকদের জন্য ৫ লাখশিক্ষার্থীরা যথারীতি তাদের বর্তমান টিউশন ফি প্রদান করা চালিয়ে যাবে এবং অবশিষ্ট পরিমাণ তাদের ইউনিক আইডি অ্যাকাউন্টে রেকর্ড করা থাকবেটিউশন ফি সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ভর্তি হওয়ার সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের অবশ্যই ট্যাক্স নম্বর (টিআইএন) থাকতে হবেস্নাতক শেষ করার পর যখন তারা চাকরি পাবে এবং তাদের আয় দেশের গড় বেতনের চেয়ে বেশি হবেতখন বাকি টিউশন ফি কিস্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত দিতে হবেএটা ঋণ নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তাদের অবদানসংগৃহীত অর্থ তাদের গবেষণা ও প্রকল্প, কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, ইন্টার্নশিপ, উচ্চশিক্ষা, সুযোগ, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং করতে ব্যয় হবে

ইউনিটেক মডেলের সফল বাস্তবায়ন আগামী দশ বছরে রেমিটেন্স প্রবাহ ৮-১০ গুণ বৃদ্ধি করতে পারে৫-১০ বছরের মধ্যে মডেলটি পরিপক্ব হলে বিদেশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য আয় আসতে শুরু করবেততদিনে আমাদের অন্তত ক্যাটাগরি-১ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উচ্চমানের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদানের অবস্থানে থাকবেবিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অনলাইন এবং ব্লেন্ডেড পদ্ধতিতেচতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি আমাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবেনতুন পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, যাদের সীমিত আয় ও অবদান রয়েছে, তারা অন্যের সঙ্গে যোগ দিয়ে দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরি এবং অর্থনীতিতে ভাল অবদান রাখতে পারে২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে বলে আশা করা হচ্ছেকিন্তু ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকলে তা কতটুকু টেকসই হবে তা বলা কঠিনতাই নীতিনির্ধারকরা যদি ইউনিটেকের মতো একটি কার্যকরী মডেল বিবেচনা করেন, তাহলে আমাদের অন্তত ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয় ২০৪১ সালের মধ্যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে পারবে এবং সারাবিশ্বে এডুকেশন বাংলাদেশব্র্যান্ডিং করা তখন অসম্ভব হবে না

লেখক : শিক্ষাক্রম, ডিজিটাল শিক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ,

মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া

×