ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মহাকাশের কাব্য

অর্পিতা আল্পনা

প্রকাশিত: ২১:১৪, ৩ নভেম্বর ২০২২

মহাকাশের কাব্য

মহাকাশ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই

মহাকাশ নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ ইত্যাদি কবির কল্পনায় বাক্সময় হয়েছে এক রূপে আর বিজ্ঞানী দেখিয়েছেন অন্যরূপে। যা বাস্তব তাই তুলে এনেছেন বিজ্ঞানী, বেড়েছে মানুষের বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান।
মহাকাশের খুঁটিনাটি অনেক কিছুই এখনো মানুষ জানে কেবল তথ্য হিসেবে। তথ্যের বাইরে বিস্তারিত জানতে যারা আগ্রহী তাদের জন্য সাহিত্য প্রকাশ সম্প্রতি বাজারে এনেছে অনবদ্য একটি বই, ‘মহাকাশ বিজয়ের কাহিনী। বইটির লেখক সাবেক বৈমানিক বীর বিক্রম আলমগীর সাত্তার। তাঁর সাবলীল গদ্য ভাষার টান পাঠককে অনায়াসে নিয়ে যাবে বিষয়ের গভীরে।
বইটিতে রকেট আবিষ্কার করতে যারা প্রথম দিকে কাজ শুরু করেন ও পরবর্তীতে এর উন্নয়ন ঘটান সেসব বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা এবং তাদের জীবনী ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শুরুর সে ইতিহাস লেখক শেষ করেছেন মানুষের চাঁদে পদার্পণ দিয়ে।
আকাশচারী জীবন ও লিপিকুশলতা মিলিয়ে আলমগীর সাত্তার প্রণীত মহাকাশ বিজয়ের কাহিনী একেবারে ভিন্নধারার বই। আকাশজয়ের পর মানুষ তাকিয়েছে মহাকাশের দিকে, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে সেই অন্তহীন বিস্তারে পৌঁছবার সাধনা, রকেট-বিজ্ঞানের বিকাশ, সেসব কথা লেখক বলেছেন কেবল বিজ্ঞানও কারিগরি বিবেচনা থেকে নয়, মানব সভ্যতার শক্তিময়তা ও ধ্বংসাত্মক প্রবণতা দুই-ই এখানে চলেছে হাতে হাত ধরে।

শক্তিশালী সমরাস্ত্র দ্বারা শত্রুকে আঘাত হানার লক্ষ্যে ঘটেছে রকেট-বিজ্ঞানের বিকাশ, সেই অগ্রগতি আবার মহাকাশ জয়ে জুগিয়েছে সমর্থন। সভ্যতার দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও অর্জন-সাফল্য উভয়ের মিশেলে মহাকাশ জয়ের কাহিনী সহজিয়াভাবে বর্ণনা করেছেন আলমগীর সাত্তার। পাতায় পাতায় রঙিন ছবি এই পাঠ করে তুলেছে আরও মনোগ্রাহী। শেষ বিচারে এই গ্রন্থ নিছক তথ্যসমৃদ্ধ নয়, চিত্তাকর্ষকও বটে, সেই সঙ্গে ভাবনা-উদ্রেককারী। সব মিলিয়ে পাঠকের জন্য অনন্য উপহার।
বইটি হাতে নিয়ে পথম দৃষ্টিতে পাঠকের বিভ্রম জাগতে পারে, এটি দেশী না বিদেশী? চমৎকার ঝকঝকে ছাপা, উন্নতমানের কাগজ, প্রচ্ছদ ও বাঁধাই বইটিকে করে তুলেছে অনবদ্য, সচরাচর যা দেখা যায় না।

×