
অনেক সময় শিশুরা হঠাৎ অকারণে জেদ ধরা বা কথা না শোনা শুরু করে। অভিভাবকদের জন্য তা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। জেদি শিশুকে মানসিকভাবে চাপ না দিয়ে ও বকাবকি না করেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে সামলানো সম্ভব। নিচে তুলে ধরা হলো এমন পাঁচটি কার্যকর কৌশল -
১. শিশুকে ‘চয়েস’ দিন, আদেশ নয়
শিশুর ইচ্ছা ও স্বাধীনতাকে সম্মান জানানোর এক চমৎকার উপায় হচ্ছে তাকে দুটি বিকল্প দেওয়া। যেমন:
“তুমি লাল জামাটা পরবে না নীলটা?”
এতে শিশুর মনে হয় সিদ্ধান্তটা সে নিজেই নিচ্ছে। এতে কমে যায় বিরোধিতা বা জেদ।
২. নিয়মে স্থির থাকুন, তবু নমনীয় হোন
নিয়ম তৈরি করুন এবং সেটিতে স্থির থাকুন, কিন্তু প্রয়োজনে নমনীয় হোন। শিশুর সঙ্গে নিয়মগুলো নিয়ে খোলামেলা কথা বলুন। তাৎক্ষণিক রাগ বা জোর খাটানো নয়, বরং শান্তভাবে আচরণ করলেই তারা নিয়ম মানার প্রবণতা বাড়ায়।
৩. ছোটখাটো বিষয়ে তর্ক এড়িয়ে যান
প্রতিটি বিষয়ে জোর দিয়ে নয়—কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করুন। যেমন, জামা কোথায় রাখবে বা খেলনা কোথায় রাখবে—এই ধরনের বিষয় নিয়ে বারবার তর্কে না গিয়ে বড় নিয়মে ফোকাস করুন।
৪. ভালো আচরণের প্রশংসা করুন
শিশুর ভালো ব্যবহার বা ছোটখাটো ইতিবাচক কাজের জন্য প্রশংসা করুন। যেমন, “তুমি খুব সুন্দরভাবে অপেক্ষা করেছ,” বা “তুমি ছোট ভাইকে সাহায্য করেছ – দারুণ কাজ!”
এই প্রশংসা শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে ও তারা আরও ভালো আচরণ করতে উৎসাহ পায়।
৫. শিশুর কথা মন দিয়ে শুনুন
শিশুর আচরণ বোঝার আগে তার মনোভাব বোঝা জরুরি। সে কেন জেদ করছে, কী বলতে চাইছে—তা বুঝতে মন দিয়ে শুনুন। এতে সে নিরাপদ ও মূল্যায়িত বোধ করে। আর তাতেই ধীরে ধীরে কমে আসে জেদ বা বিরোধিতা।
এই কৌশলগুলো অবলম্বন করলে শিশুর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হবে এবং অভিভাবকরাও মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকবেন।
সানজানা