
ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টির ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত মাছ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন-ডি এবং মিনারেলস শিশুর মস্তিষ্কের উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং চোখের গঠন ঠিক রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
মাছের পুষ্টিগুণ যা শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ:
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড (DHA ও EPA): শিশুর মস্তিষ্ক ও চোখের স্বাস্থ্য উন্নত করে
উচ্চমানের প্রোটিন: শরীরের কোষ গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি: হাড় গঠনে সহায়তা করে।
আয়রন, আয়োডিন ও জিঙ্ক: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও মানসিক বিকাশে সহায়ক।
শিশুর বয়স অনুযায়ী মাছ খাওয়ানোর পরামর্শ:
৬-৮ মাস: খুব নরমভাবে সেদ্ধ করা কাঁটাবিহীন মাছ ম্যাশ করে অল্প পরিমাণে খাওয়ানো যেতে পারে।
৮ মাস থেকে ১ বছর: মাছভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে সামান্য পরিমাণে কাঁটাবিহীন মাছ মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
১ বছর থেকে বেশি বয়সী শিশু: সেদ্ধ বা হালকা ভাজা মাছ নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
তবে শিশুদের মাছ খাওয়ানোর সময় অবশ্যই কয়েকটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে:
কাঁটা পরিষ্কারভাবে বেছে নেওয়া: যাতে শিশু গিলতে গিয়ে বিপদে না পড়ে।
অ্যালার্জি লক্ষণ পর্যবেক্ষণ: কোনো নতুন মাছ খাওয়ানোর পর যদি ত্বকে র্যাশ, শ্বাসকষ্ট বা বমি দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বড় মাছের পরিবর্তে ছোট মাছ বেছে নেওয়া: কারণ বড় মাছগুলিতে অনেক সময় পারদ (Mercury) নামক বিষাক্ত ধাতুর পরিমাণ বেশি থাকে, যা শিশুদের স্নায়ুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে অন্তত ২–৩ দিন শিশুদের মাছ খাওয়ানো হলে তা তাদের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়ক হবে।
মিরাজ খান