
ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেই অভিযোগ করেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরও অলসতা পিছু ছাড়ে না। কোনো কাজেই মন বসে না, বরং দিনভর শুয়ে-বসে কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। অফিসের কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না, কমে যাচ্ছে কর্মস্পৃহা। চিকিৎসকরা বলছেন, এর পেছনে একটি বড় কারণ হতে পারে শরীরে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনের ঘাটতি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের ভিটামিন ও খনিজের নির্দিষ্ট মাত্রা বজায় না থাকলে পেশির ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং অবসাদ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত অলসতা বা ঝিমুনির অনুভূতির পেছনেও এই ভারসাম্যহীনতা দায়ী।
বিশেষ করে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি থাকলে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে।
ভিটামিন ডি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাবে শুধু যে ক্লান্তি ও ঝিমুনি বাড়ে তা-ই নয়, বরং হাড়ের ক্ষয়, হাঁটুর ব্যথা, ত্বক, চুল ও নখের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে।
অন্যদিকে, ভিটামিন বি১২-এর অভাব হলে ক্লান্তি, অনিদ্রা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ে। দীর্ঘমেয়াদে মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকিও তৈরি হয়। পাশাপাশি হাত-পা কাঁপা, পেশিতে অসাড়তা ও টান, ঝিমুনি বা মাথা ঘোরার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
শরীরচর্চা, সুষম ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ, যথেষ্ট পানি পান এবং রাতে ৭-৮ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন ঘুম — এই কয়েকটি সহজ পরিবর্তন জীবনে আনলেই আলস্য ও ক্লান্তির অনুভূতি অনেকটাই দূর করা সম্ভব।
সায়মা ইসলাম