ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

বার্ধক্যকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলা মানুষগুলোর যেসব অভ্যাস

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৪:১১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

বার্ধক্যকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলা মানুষগুলোর যেসব অভ্যাস

প্রতীকী ছবি

বার্ধক্য প্রায়শই ধীরগতির ও স্থবিরতার সময় হিসাবে দেখা হয়। তবে যারা ৬০-এর পরও এগিয়ে চলছেন, তাদের গল্পটি আলাদা। এই ব্যক্তিরা জীবনকে কেবল কিছু ধাপ পার করার বিষয় হিসেবে দেখেন না, বরং এটি একটি চলমান যাত্রা, যা শেখা, সৃজনশীলতা এবং স্থিতিস্থাপকতার মাধ্যমে এগিয়ে যায়। তারা জানেন যে প্রতিটি দিন নতুন শেখার, বেড়ে ওঠার এবং অবদান রাখার সুযোগ নিয়ে আসে।

ঠিক যেমন সূর্যাস্তের পর আবার সূর্যোদয় হয়, এই অভ্যাসগুলো তাদের প্রতিদিনের জীবনকে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে শেষ করতে এবং পরবর্তী দিনটিকে ধরতে প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।

১. আত্মবিশ্লেষণের অভ্যাস: বয়স বাড়ার সাথে সাথে জীবন ধীরে চলে মনে হলেও, যারা ৬০-এর পরও এগিয়ে চলছেন, তারা প্রতিটি দিনকেই শেখার, বেড়ে ওঠার এবং পরিবর্তনের সুযোগ হিসেবে দেখেন। তাদের একটি অভ্যেস হলো আত্মবিশ্লেষণ করা। তারা দিনের শেষে তাদের কাজ, সিদ্ধান্ত এবং অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করেন এবং ভবিষ্যতের জন্য এসব অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনা করেন।

২. কৃতজ্ঞতাবোধ গড়ে তোলা: দিন শেষ হওয়ার সাথে সাথে কৃতজ্ঞতাবোধ গড়ে তোলা অত্যন্ত মূল্যবান। এটি একটি সাধারণ অভ্যাস, কিন্তু এটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে এবং জীবনে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

৩. ব্যক্তিগত উন্নয়নের প্রতি অঙ্গীকার: জীবনে এগিয়ে চলতে থাকলে তা কিছুটা দুর্ঘটনা নয়। এটি ধারাবাহিক ব্যক্তিগত উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতি নিবদ্ধ করে। যারা ৬০-এর পরও এগিয়ে চলছেন, তারা বই পড়া, উত্সাহজনক আলোচনা করা বা চিন্তাশীল ভিডিও দেখা ইত্যাদি মাধ্যমে নিজেদের শিক্ষা অব্যাহত রাখেন।

৪. পেছনের বিপত্তিকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা: জীবন কখনো সোজা পথের মতো চলে না। এখানে সবসময় উত্থান-পতন থাকে, এবং বয়স বাড়ানোর সাথে সাথে আমরা আরও বিপত্তির সম্মুখীন হই। তবে যারা ৬০-এর পরও এগিয়ে চলছেন, তারা এসব বিপত্তিকে শেখার এবং বেড়ে ওঠার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেন।

৫. সম্পর্কের প্রতি বিনিয়োগ করা: বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের সম্পর্কগুলি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এগিয়ে চলা মানুষরা বুঝতে পারেন যে সম্পর্কের গভীরতা এবং পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি গড়ে তোলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা এসব সম্পর্কগুলিতে সময় এবং শক্তি বিনিয়োগ করেন।

৬. বিশ্রাম ও পুনর্জীবনের প্রতি অগ্রাধিকার দেওয়া: সমাজে যে ব্যস্ততা আমাদের মূল্যবান মনে করিয়ে দেয়, তাদের মধ্যে বিশ্রামকে বিলাসিতা বা সময় নষ্ট মনে হতে পারে। তবে যারা ৬০-এর পরও এগিয়ে চলছেন, তারা বিশ্রামের আসল মূল্য বোঝেন। এটি শুধুমাত্র শারীরিক পুনরুদ্ধার নয়, বরং মানসিক এবং আবেগগত পুনর্জীবনও।

৭. সচেতনভাবে ভোগ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আমরা যেমন যা খাই তেমনি আমাদের মস্তিষ্ক এবং আবেগকেও প্রভাবিত করে। যারা ৬০-এর পরও এগিয়ে চলছেন, তারা নিজের মানসিক ও আবেগগত স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে যা ভক্ষণ করেন, তা বেছে নেন। তারা গুণগত মানসম্পন্ন বই পড়েন, উদ্বুদ্ধকর ডকুমেন্টারি বা পডকাস্ট শোনেন, যা তাদের চিন্তা-ধারণাকে প্রসারিত করে।

এম হাসান

×