
ছবি: সংগৃহীত
শরীর ভালো আছে বলে সব সময় সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা হয় না। অনেক সময় গোপন রোগ বা শারীরিক ত্রুটি কোনও লক্ষণ ছাড়াই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। তাই নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করানো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অপরিহার্য। এই পরীক্ষাগুলো শরীরের ভেতরের অবস্থা প্রকাশ করে, সময়মতো সতর্কতা নিয়ে বড় জটিলতা এড়াতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হিসেবে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, লিপিড প্রোফাইল, ব্লাড গ্লুকোজ ও HbA1c, থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট এবং কমপ্রিহেনসিভ মেটাবলিক প্যানেল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (CBC):
রক্তের লোহিত ও শ্বেতকণিকা, প্লেটলেটের পাশাপাশি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পরিমাপ করে এটি। রক্তস্বল্পতা, সংক্রমণ, ক্লটিং সমস্যা ও পুষ্টি ঘাটতির প্রাথমিক তথ্য দেয়। প্রতি বছর এই পরীক্ষা করলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নির্ধারণ সহজ হয়।
লিপিড প্রোফাইল:
মোট কোলেস্টেরল, খারাপ কোলেস্টেরল (LDL), ভাল কোলেস্টেরল (HDL) ও ট্রাইগ্লিসারাইড পরিমাপ করে হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয় করে। উচ্চ LDL ও ট্রাইগ্লিসারাইডস হৃদরোগের জন্য বিশেষত বিপজ্জনক।
রক্তে শর্করা ও HbA1c:
ডায়াবেটিস শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উপবাসের রক্তে গ্লুকোজ ও HbA1c পরীক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি রক্তে শর্করার মাত্রা জানা যায়।
থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট:
শরীরের বিপাক ও শক্তি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। ক্লান্তি, ওজন পরিবর্তন ও মানসিক পরিবর্তনের কারণ বোঝার জন্য এটি জরুরি।
কমপ্রিহেনসিভ মেটাবলিক প্যানেল (CMP):
কিডনি, লিভার, লবণ, শর্করা ও ক্যালসিয়ামের মাত্রা বিশ্লেষণ করে। দীর্ঘমেয়াদী রোগ বা ওষুধ ব্যবহারের ফলে শরীরের অবস্থা পর্যবেক্ষণে সহায়ক।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, বছর দুয়েক অন্তর থাইরয়েড পরীক্ষা করা যেতে পারে, আর অন্যান্য পরীক্ষাগুলো প্রতি বছর করানো উত্তম। ফলাফল বুঝতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও রোগ প্রতিরোধে সময়োপযোগী রক্ত পরীক্ষা একান্ত প্রয়োজন। তাই সুস্থ মনে হলেও বার্ষিক এই পরীক্ষা করানো আপনার স্বাস্থ্য রক্ষায় বড় সহায়ক হবে।
আবির