
ছবি: সংগৃহীত
আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালের অন্যতম উপহার কাঁঠাল। যদিও পাকা কাঁঠাল খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু, তবে অনেকেই জানেন না যে কাঁচা কাঁঠালও স্বাদে ও পুষ্টিতে অনন্য। শাকসবজির মতো রান্না করে খাওয়া যায় এই কাঁচা ফলটি, যা শুধু স্বাদেই নয়, বরং স্বাস্থ্যগুণেও ভরপুর।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
কাঁচা কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন A, C, এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফাইবার, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাশাপাশি এতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় কাঁচা কাঁঠাল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার হতে পারে। এছাড়া এর ফাইবার রক্তে শর্করার শোষণ ধীর করে, যা ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী
ফাইবার, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কাঁচা কাঁঠাল হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য কাঁচা কাঁঠাল হতে পারে স্বাস্থ্যকর একটি বিকল্প। এতে ক্যালরি কম কিন্তু ফাইবার বেশি থাকায় দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ভিটামিন C ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে কাঁচা কাঁঠাল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে এবং ত্বককে রাখে উজ্জ্বল ও সতেজ।
রান্নায় বহুবিধ ব্যবহার
কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে তৈরি করা যায় নানা রকম সুস্বাদু রান্না—যেমন কাঁঠালের কোপ্তা, কাঁঠাল ভুনা, কাঁঠাল খিচুড়ি ইত্যাদি। অনেকেই একে ‘ভেজিটেরিয়ান মিট’ বলেও আখ্যা দেন, কারণ এর টেক্সচার মাংসের মতোই।
প্রাকৃতিক ও স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় কাঁচা কাঁঠাল যেন এক নিরব বিস্ময়। তাই গরমের এই মৌসুমে বাজারে কাঁচা কাঁঠাল পেলে একটু না ভেবেই কিনে ফেলুন। স্বাদ আর পুষ্টির মেলবন্ধন ঘটুক এক বাটিতে!
আসিফ