
ছবি: জনকণ্ঠ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ছনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৫ মে) দুপুরের দিকে বরাইদ ইউনিয়নের ছনকা গ্রামের বিদ্যালয় মাঠে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় জনসাধারণ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাজাহান ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম তথ্য গোপন করে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় স্থানান্তরের একটি চিঠি আনেন। তবে সেটি বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৫ এপ্রিল রাতের আঁধারে বিদ্যালয়টি পূর্ব পাশ থেকে নদীর পশ্চিম পাড়ে ছনকা বাজার এলাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং পূর্বের ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এতে পূর্ব পারের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে না পেরে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হয়।
বক্তারা আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে ৩০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা পূর্বের স্থানান্তরের আদেশ বাতিল করে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের পুরোনো স্থানে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও শিক্ষকরা সেখানে ফিরে আসেননি।
উপস্থিত অভিভাবক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও পদত্যাগের দাবি জানান। মানববন্ধনে অংশ নেন প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ, বরাইদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান শিপন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বাকী, স্থানীয় শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরলেও শিক্ষকরা উপস্থিত না থাকায় কোন পাঠদান হয়নি।
এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ জানান, ২০১৫ সালে চরাঞ্চলের দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ছনকা গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০২২ সালে এটি এমপিওভুক্ত হয়। তবে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠানটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চলছে।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, “৩০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয় স্থানান্তরের পূর্বের আদেশ বাতিল করে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এরপরও যদি শিক্ষকরা ক্লাসে না ফেরেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রবিউল