ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২

গফরগাঁওয়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

শেখ আব্দুল আওয়াল, গফরগাঁও থেকে

প্রকাশিত: ০১:২২, ৬ মে ২০২৫

গফরগাঁওয়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

বোরো ধান সিদ্ধ ও রোদে শুকিয়ে গোলায় তুলতে ব্যস্ত কিষান-কিষানী

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে চলতি বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন, গফরগাঁও উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের রেকর্ড ফলন হয়েছে। এতে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন পাকা ধানে ছেয়ে গেছে প্রকৃতি। মাঠে চলছে ধান কাটার উৎসব। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

তবে চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টির ফলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন উপজেলার কৃষকেরা। কিন্তু সব শঙ্কা ছাপিয়ে এবার বোরোর ভালো ফলন পেয়ে কৃষকদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে দাম ভালো হওয়ায় কৃষকেরা খুশি। রবিবার ও সোমবার সকালে উপজেলার চরাঞ্চল, সালটিয়া, বারবাড়ীয়া, রাওনা, পাইথল ও পাঁচবাগ, টাংগাবসহ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম তুহিন জানান, পৌরসভাসহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নেই বিভিন্ন জাতের বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতির দুর্যোগ না থাকায় এই ফলনে অনেক কৃষকের মুখে সোনালি হাসি দেখতে পাই আমরা।  
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অর্ধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে কৃষি বিভাগের আওতায় গফরগাঁও উপজেলায় প্রায় বিশ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাবে কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠে শুধু ধান গাছ। দিগন্তজুড়ে সবুজ পাকা ধান সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। ধান কাটছে কৃষকেরা। ভোর থেকে রাত অব্দি ক্ষেতের ফসল সোনালী স্বপ্ন গোলায় তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

উপজেলার চরআলগী গ্রামের শামছুদ্দিন, জব্বার, নূর মিয়া, গোলাম হোসেন, নূর হোসেনসহ অনেকে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ও পরামর্শে চলতি বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে তারা। এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কমকর্তা সাকুরা না¤œী জনকণ্ঠকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।

ফলন আশার চেয়ে বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা মাঠের ৭০ ভাগ ধান কেটে ঘরে তুলেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে ধান ৮০ ভাগ পেকে গেলেই কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৬ টন ধান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এন এম আব্দুল্লাহ-আল- মামুন বলেন, আমাদের কৃষকরা যাতে কোনো রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে সঠিক সময়ে ধান ঘরে তুলতে পারে সেই দিক মাথাই রেখে উপজেলা কৃষি বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। গত মৌসুমের চেয়ে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

×