
ছবিঃ সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং খ্যাতিমান ক্রিকেটার ইমরান খান কারাগারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন—সম্প্রতি এমন একটি চাঞ্চল্যকর দাবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক ডন পত্রিকার লোগো সম্বলিত একটি ভাইরাল ফটোকার্ডের মাধ্যমে এই খবর ছড়ানো হলে তা দেশি-বিদেশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই খবরটি কি আদৌ সত্য?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ফটোকার্ডটিতে দাবি করা হয়, কারাগারে ইমরান খানের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং একটি মেডিকেল রিপোর্ট সেই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। ইংরেজিতে লেখা শিরোনামটি ছিল: “Leaked medical report confirms sexual assault on Imran Khan in custody by an army major.”
এই সংবাদটি বাংলাদেশেও ভাইরাল হয়, বিশেষ করে প্রিয়া শাহ নামের একটি একাউন্ট থেকে পোস্ট করার পর তা ব্যাপক হারে শেয়ার হতে থাকে।
যখন ভাইরাল হওয়া শিরোনামটি ডনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে খুঁজে দেখা হয়, তখন দেখা যায় এমন কোনো প্রতিবেদন আদৌ প্রকাশিত হয়নি। একইভাবে, অন্যান্য গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত কোনো সত্যনিষ্ঠ প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
এই দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টচেকাররা তদন্ত শুরু করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আফগানিস্তানের বিশ্লেষক ও ফ্যাক্টচেকার কায়েস আলামদার। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ প্রকাশিত এক পোস্টে এই খবরটিকে ভুয়া বলে নিশ্চিত করেন। তার ব্যাখ্যা অনুযায়ী, ভাইরাল হওয়া মেডিকেল রিপোর্টে তারিখ ছিল ৩ মে, অথচ এই রিপোর্টটি ছড়ানো শুরু হয় ২ মে রাতেই। অর্থাৎ, এটি প্রযুক্তিগতভাবে অসম্ভব এবং রিপোর্টটি স্পষ্টভাবে জাল বলে প্রমাণিত।
প্রমাণ ছাড়া এমন স্পর্শকাতর ও বানোয়াট তথ্য ছড়ানো আইনত ও নৈতিকভাবে গুরুতর অপরাধ। এই ধরনের অপপ্রচার ব্যক্তির মানহানি ছাড়াও দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
ইমরান