
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজায় স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরু করলেও এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা অর্জন করতে পারেনি দখলদার ইসরায়েল। আধুনিক প্রযুক্তি ও শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হলেও সম্মুখসমরের বদলে গেরিলা কৌশলে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে হামাস। আর এই কৌশলের কারণে ক্রমেই প্রাণ হারাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েল স্বীকার করেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফার আল-জানিনা পাড়ার একটি ভবনের সুড়ঙ্গ তল্লাশির সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে প্রাণ হারান ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কম্ব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ‘ইয়া হালুম ইউনিট’-এর ক্যাপ্টেন নোয়াম রহিদ এবং সার্জেন্ট ইয়ালি সেরর। হামাসের পাতা বিস্ফোরক ফাঁদে পা রাখার ফলেই এই প্রাণহানি ঘটে।
গত শনিবার (০৩ মে) গাজার পূর্বাঞ্চলের দারাজ ও তুফাহ পাড়ায় ইসরায়েলি সেনা ঘাঁটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন আরও দুই সেনা। গাজা জুড়ে হামাস বিভিন্ন স্থানে বিস্তৃত সুড়ঙ্গ ও বোমা ফাঁদ পেতে রেখেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এ সব ফাঁদে পা রেখেই প্রতিনিয়ত ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ছে দখলদার বাহিনী।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৮৫৩ জন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরুর পর নিহত হয়েছেন ৬ সেনা। এছাড়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ যুদ্ধে ইসরায়েলের ৫৭৫৮ জন সেনা আহত হয়েছেন।
প্রতিনিয়ত ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ায় ইসরায়েল এখন রিজার্ভ সেনা তলব করেছে এবং বৃহত্তর স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুদ্ধবিরতি ভেঙে মার্চ মাস থেকে পুনরায় গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে হামাসের গেরিলা কৌশল এবং সুড়ঙ্গ-নির্ভর প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইসরায়েলি বাহিনীর অগ্রযাত্রাকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করছে।
সূত্রঃ https://youtu.be/gVPkdccHNRE?si=m9mj3tn2P-rQM3jG
ইমরান