
ছবিঃ সংগৃহীত
সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক কর্নেল (অব.) এম এ হক বলেছেন, বামপন্থীরা কলকাতার নির্দেশে, ইন্ডিয়ার নির্দেশে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা সৃষ্টি করেছে দাড়ি-টুপির বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি বেসরকারি টিভি চ্যানেল বাংলাভিশনের একটি টকশো অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এম এ হক বলেন, “এই যে টুপি পড়েছি আমি, দাড়ি আছে—বিশ্বাস করুন, বামপন্থীদের গা জ্বলে। অথচ এই দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকটাই কিন্তু পাকিস্তান কায়েম করেছিল। ১৯৪৭ সালের আগে, ১৯০৫ সালে এই মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্যার সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ছিল, যেটি পরে নিখিল পাকিস্তান মুসলিম লীগ হয়ে ওঠে। এই মুসলিম লীগ থেকেই তো শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক দ্বিজাতি তত্ত্ব দিয়েছিলেন। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতেই তো এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। নইলে ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশের কোনো উপাদান ছিল না স্বাধীন রাষ্ট্র হওয়ার জন্য।”
তিনি আরও বলেন, “একটা দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই দাড়ি-টুপিওয়ালা লোকদের কারণে। এই বামপন্থীরা কলকাতার নির্দেশে, ইন্ডিয়ার নির্দেশে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা সৃষ্টি করেছে দাড়ি-টুপির বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার পর থেকে নয়, স্বাধীনতার আগেও তারা ঘৃণা ছড়িয়েছে। তারা বলেছে, দেশের সবকিছু নষ্ট হয়েছে দাড়ি-টুপিওয়ালাদের কারণে। দেখবেন, কটাক্ষ করে এই দাড়িওয়ালাদের ওপর। অথচ হিন্দুরা যখন বড় দাড়ি রাখে, তখন তাদেরকে আবার জড়িয়ে ধরে, মোদিকে জড়িয়ে ধরে—মোদির তো দাড়ি আছে। হিন্দু সাধুদেরও তারা জড়িয়ে ধরে।”
তিনি আরও বলেন, “এই যে একটা ধোঁয়া তুলে হাসিনা ১৬ বছর শাসন করেছে। শুধু এই ধোঁয়া তুলে হলি আর্টিজানের সাজানো নাটক করেছে। সবগুলোই সাজানো নাটক। হাসিনা, 'র' আবার ওদিকে মোসাদ—সবাই একজোট হয়ে এই দেশ থেকে ইসলাম বিতাড়ন করতে চায়, আর্মিকে শেষ করতে চায়—এমন মনোভাব পোষণ করে। প্রত্যেকটা হত্যাকাণ্ড, জঙ্গি নাটক। একটা ছেলেও জঙ্গি ছিল না যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। ১১ জন একেবারে নিরীহ, সাধারণ ঘরের ভালো ভালো ছেলেগুলোকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যেত এই ডিবি হারুন, ডিবি মনির—এই সমস্ত বাটপারেরা, চোরগুলো। তারা এগুলোকে আটক রাখতো, নানা ভাবে একটা নাটক সাজিয়ে।”
সূত্রঃ https://www.facebook.com/watch/?v=1000369152164124&rdid=GekXAjIxhmYJdOtd
ইমরান