
ছবি: সংগৃহীত
‘চকলেট’ শব্দটিই যেন মিষ্টি আনন্দের প্রতীক। কিন্তু চকলেটের কাঁচামাল কোকোর উৎপাদন আজ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে। এ অবস্থায় এক নতুন উদ্ভাবন চকলেট শিল্পে বিপ্লব আনতে পারে, ল্যাবে তৈরি কোকো।
সুইজারল্যান্ডে ক্রিস্টিয়ান শাওবের স্টার্টআপ ‘ফুড ব্রুয়ার’ এ ধরনেরই এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এখানে পানি, চিনি ও পুষ্টি উপাদানে একটি ট্যাংকে পূর্ণ করা হয়, ট্যাংকে আরও থাকে ক্রমবর্ধমান কোকো কোষের সংস্কৃতি। কোষগুলো মনে করে, তারা গাছের কোষ। তাই উপযুক্ত পরিবেশ পেলে তারা বাড়তে থাকে।
এই প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত তরল পরবর্তী পর্যায়ে শুকিয়ে ও ভেজে কোকো পাউডারে পরিণত করা হয়। এতে করে প্রচলিত কৃষি, জমি বা পরিবহন ব্যবস্থার ঝামেলা ছাড়াই কোকো উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।
শাওবের দাবি, এই ল্যাবে তৈরি কোকো প্রকৃত কোকো কোষ থেকেই উৎপাদিত, তাই এটি ‘অপ্রাকৃতিক’ নয়। বরং এতে কোনো দূষণ, ভারী ধাতু বা রাসায়নিক নেই, এটি বেশি বিশুদ্ধ ও নিরাপদ।
সুইজারল্যান্ডের রাস্তায় মানুষকে প্রশ্ন করা হলে কেউ কেউ ল্যাবে তৈরি চকলেট কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তবে অনেকেই প্রাকৃতিক উৎপাদনের স্বাদকে বেশি পছন্দ করেন। বেশিরভাগের মতে, স্বাদই আসল বিবেচ্য।
সুইজারল্যান্ড চকলেটের কেন্দ্রবিন্দু হলেও এখানে কোকো চাষ হয় না। মূলত পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হয়, যেখানে বিশ্বের প্রায় ৭০% কোকো উৎপন্ন হয়। কিন্তু সেখানে জলবায়ু পরিবর্তন, বন উজাড় ও নিম্ন মজুরির কারণে কৃষকরা কোকো চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
‘ফুড ব্রুয়ার’ আশা করছে, তারা একই জায়গা থেকে ৫ হাজার গুণ বেশি কোকো উৎপাদন করতে পারবে। তবে তাদের প্রযুক্তি এখনো সরকারি অনুমোদনের অপেক্ষায়।
তাদের মতে, এখন মূল লক্ষ্য উৎপাদন বাড়ানো, খরচ কমানো ও বাজারে সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। কারণ, বর্তমান সরবরাহ চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট নয়।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
রাকিব