
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রেস সচিব শফিকুল আলম সম্প্রতি একটি টকশোতে বলেন, সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ইস্যুতে স্বাধীনভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন এবং এটি একটি গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাভাবিক। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, সরকার এ ধরনের প্রতিক্রিয়ায় কখনো কখনো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছে, বিশেষ করে যখন তা আইনের সীমা লঙ্ঘন করে।
তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি ফ্রিডম অফ অ্যাসোসিয়েশন এবং প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। কিন্তু আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া বা কাউকে ভয় দেখানো বা হুমকি দেওয়া চলবে না।”
তিনি জানান, অনলাইনে মতপ্রকাশের পাশাপাশি কিছু সংগঠন থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা কখনো কখনো হুমকির পর্যায়ে চলে গেছে। এসব ক্ষেত্রে সরকার দায়িত্ব পালন করেছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
শফিকুল আলম বলেন, “মার্চ করা, প্রতিবাদ করা গণতান্ত্রিক অধিকারের অংশ। আপনি চাইলে কোনো মিডিয়া হাউসের সামনে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে পারেন। বিদেশেও এমনটা হয়—বিবিসি বা নিউইয়র্ক টাইমস-এর সামনেও বহুবার মানুষ প্রতিবাদ করেছে।”
তবে, সাংবাদিক ছাঁটাইয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার কাউকে চাকরি দেয় না, আবার প্রত্যেক ব্যক্তিকে চাকরিতে বহাল রাখার দায়িত্বও সরকারের নয়। যদি কেউ মনে করেন তাকে অবৈধভাবে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাহলে তার আইনি পথ খোলা আছে। এ ধরনের রেমিডি দেওয়ার ক্ষমতা কোর্টের।”
তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যম বা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানে যাদের চাকরি গেছে, তারা চাইলে লেবার কোর্টে যেতে পারেন এবং আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন। সরকার এখানে নির্দিষ্টভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, কারণ এটি একটি প্রাইভেট ও লিগাল প্রসেসের বিষয়।”
মারিয়া