ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

মুসলিম বিশ্বকে খামেনির কড়া বার্তা

প্রকাশিত: ১১:০২, ৬ মে ২০২৫

মুসলিম বিশ্বকে খামেনির কড়া বার্তা

ছবি : সংগৃহীত

গাজায় নির্যাতন আর ইয়েমেনে আগুনে পুড়ে ছারখার জনপদ, এই বিভীষিকাময় পরিস্থিতির জন্য মুসলিম বিশ্বের ভেতরকার ঐক্যের ঘাটতিকেই দায়ী করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি।

 

 

রোববার (৫ মে) তেহরানে হজ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, “গাজা ও ইয়েমেনে যে দুঃসহ মানবিক বিপর্যয় চলছে, তার দায় এড়াতে পারে না মুসলিম বিশ্ব। ঐক্যের অভাবই আজ মুসলিম উম্মাহকে দুর্বল করে তুলেছে, আর সেই দুর্বলতাকে পুঁজি করছে পশ্চিমা উপনিবেশবাদী শক্তি, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মতো সম্প্রসারণবাদীরা।”

 

 

আয়াতুল্লাহ খামেনি হজকে কেবল ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে নয়, বরং একটি রাজনৈতিক ও মানবিক কর্মসূচি হিসেবেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “হজ হলো এমন এক অনন্য সমাবেশ যেখানে ভাষা, জাতি, বর্ণের বিভেদ ভুলে মুসলিমরা একত্রিত হন। এই ঐক্য যদি মুসলিম উম্মাহর মাঝে বাস্তব রূপ পেত, তাহলে গাজা ও ইয়েমেনে এত প্রাণহানি হতো না।”

 

তিনি আরও বলেন, “হজ সম্ভবত একমাত্র ইবাদত যার প্রতিটি দিক উদ্দেশ্য, কাঠামো, এমনকি সমবেত হওয়াটাও রাজনৈতিক। যারা হজের এই রাজনৈতিক তাৎপর্যকে আড়াল করতে চায়, তারা এর প্রকৃত উদ্দেশ্যকেই নষ্ট করছে।”

খামেনি মুসলিম রাষ্ট্রনেতাদের বিশেষভাবে দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, হজের বার্তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা তাদের কর্তব্য। লেখক, চিন্তাবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দায়িত্বও এতে কম নয়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ঐক্যের অভাব থাকলে আমাদের দুর্বলতা শত্রুর হাতেই অস্ত্র হয়ে দাঁড়াবে।”

 

 

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৩ হাজার মানুষ নিহত ও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের যৌথ বাহিনীর বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হচ্ছে ইয়েমেন।

 

 

উল্লেখযোগ্য যে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী সরবভাবে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের জাহাজে একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হুতিরা। এরই প্রেক্ষিতে হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন টাস্ক ফোর্স ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে, যার বড় অংশের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে সাধারণ বেসামরিক জনগণের।
 

আঁখি

×