
ছবিঃ সংগৃহীত
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সোমবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, লেবাননের বেকা উপত্যকায় হিজবুল্লাহর একটি কৌশলগত অস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর তারা হামলা চালিয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, “আইডিএফ লেবাননের বেকা এলাকায় হিজবুল্লাহর কৌশলগত অস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর হামলা চালিয়েছে।”
আইডিএফ আরও জানায়, তারা সেখানে হিজবুল্লাহর পুনরায় উপস্থিতি ও কার্যক্রম শুরুর প্রচেষ্টা চিহ্নিত করেছে এবং এ কারণে শ্রিফা এলাকাতেও সন্ত্রাসী অবকাঠামোয় হামলা চালানো হয়েছে।
এই ধরনের কার্যক্রম এবং ওইসব এলাকায় অস্ত্র মজুদের বিষয়টিকে ইসরায়েল-লেবাননের মধ্যকার সমঝোতার “সরাসরি লঙ্ঘন” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে আইডিএফ।
তারা আরও বলেছে, “ইসরায়েলের প্রতি যেকোনো হুমকি সরাতে এবং হিজবুল্লাহ যাতে তাদের সন্ত্রাসী সক্ষমতা পুনরায় গড়ে তুলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে আইডিএফ অভিযান চালিয়ে যাবে।”
একইদিন, হুথিদের লক্ষ্য করে ইয়েমেন উপকূলে বিমান হামলার তথ্যও প্রকাশ করে আইডিএফ।
তারা জানায়, “হুথিদের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের ওপর একের পর এক হামলার—যেখানে ভূমি থেকে ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে—প্রতিশোধে এই হামলা চালানো হয়েছে। হুদায়দাহ বন্দরে অবস্থিত সন্ত্রাসী অবকাঠামো হুথিদের অস্ত্র সরবরাহের কেন্দ্র এবং ইরানি অস্ত্র পরিবহণে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া, আল-হুদায়দাহ শহরের পূর্বে অবস্থিত ‘বাজিল’ কংক্রিট কারখানাও হামলার লক্ষ্য ছিল, যেটি হুথিদের সন্ত্রাসী অবকাঠামো ও ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।”
আইডিএফ জানিয়েছে, বন্দরে থাকা জাহাজগুলোর ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করেই হামলা চালানো হয়।
তারা আরও বলেছে, “হুথি সন্ত্রাসী শাসন ইরানি নির্দেশনা ও অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে, যা ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের লক্ষ্য করে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে এবং বৈশ্বিক নৌ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। আইডিএফ যেকোনো দূরত্বে পৌঁছে ইসরায়েলের ওপর আসা সকল হুমকির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আল জাজিরার তথ্য অনুসারে, সোমবার ইসরায়েল ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া এবং গাজায় একযোগে হামলা চালায়, যেখানে গাজায় বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত হয়েছেন।
মুমু