ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

গাজা দখলের পরিকল্পনায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদন

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ৬ মে ২০২৫

গাজা দখলের পরিকল্পনায় ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় হামাসবিরোধী সামরিক অভিযানের পরিধি বাড়ানোর একটি পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে গাজা ভূখণ্ড দখল ও তা ধরে রাখার বিষয়টিও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ অভিযানে হামাসকে নির্মূল ও জিম্মিদের উদ্ধারের ঘোষণা দিয়ে বলেন, গাজার ২১ লাখ মানুষকে “সুরক্ষার জন্য স্থানান্তর” করা হবে।

ইসরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামিরের প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় গাজার আরও অঞ্চল দখল, গাজাবাসীদের দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া এবং হামাস যেন মানবিক সহায়তা ব্যবহার করতে না পারে তা নিশ্চিত করার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১৩ থেকে ১৬ মে’র মধ্যপ্রাচ্য সফরের পর, যাতে হামাসের সঙ্গে সমঝোতার একটি সুযোগ তৈরি হয়।

ইসরায়েলের চরমপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ বলেন, “ইসরায়েল এবার গাজা পুরোপুরি দখল করবে।” যদিও ২০০৫ সালে ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা ও বসতি প্রত্যাহার করে নেয়, জাতিসংঘ এখনো গাজাকে ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করে।

জাতিসংঘ ও মানবিক সংস্থাগুলো ইসরায়েলের নতুন ত্রাণ বিতরণ পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করে বলেছে, এটি মানবিক নীতিমালার পরিপন্থী এবং এতে গাজার মানুষ আরও অনিশ্চয়তায় পড়বে। অনেক গাজাবাসী আবারও দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ইসরায়েল এই সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তির পরিবর্তে ভূখণ্ড দখলে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। অপরদিকে, হামাস একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি প্রত্যাহার এবং বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত সমঝোতা চায়।

হামলা শুরুর পর থেকে গাজায় অন্তত ৫২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে হামাস-শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। তীব্র খাদ্য সংকট, ওষুধের অভাব এবং ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ থাকায় গাজার মানবিক পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ বলছে, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ইসরায়েলের গাজাবাসীদের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার দায়িত্ব রয়েছে।

সূত্র: https://www.bbc.com/news/articles/cwy04km1zk0o

আবীর

×