
ছবি : সংগৃহীত
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। এই দেশটির নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার শাসনামলে রাশিয়া অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়ে তুললেও এখন আগ্রহের কেন্দ্রে একটি প্রশ্ন, কে হবেন পুতিনের পরবর্তী উত্তরসূরি?
সম্প্রতি পুতিন নিজেই এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন একটি তথ্যচিত্রে, যা নির্মিত হয়েছে তার দীর্ঘ শাসনামল স্মরণে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস জানায়, তথ্যচিত্রটির শুটিংয়ের সময় প্রথমবারের মতো রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে পুতিনের ব্যক্তিগত বাসভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। সেখানে তার সাধারণ রান্নাঘর, অতিথিদের জন্য পরিবেশিত ক্যাফি ও জ্যামের দৃশ্য উঠে আসে ক্যামেরায়।
তথ্যচিত্রের এক পর্যায়ে সাংবাদিক পাবেল জারুবিন পুতিনকে প্রশ্ন করেন, কে হবেন ভবিষ্যতের রাশিয়ার নেতা? উত্তরে পুতিন বলেন, "আমি এটা সবসময় ভাবি। আমি আশা করি ভবিষ্যতের জন্য একাধিক প্রার্থী উঠে আসবে, যাতে জনগণের হাতে পছন্দ করার সুযোগ থাকে।" তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, "যদি সেই প্রার্থী জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হন, তবে তার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে না।"
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিনের এমন মন্তব্যে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তার দুই দশকের শাসনামলে বিরোধী রাজনীতিকদের হত্যা, দমন-পীড়ন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করার বহু অভিযোগ রয়েছে। ফলে অনেকেই মনে করেন, রাশিয়ার ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে জনগণের প্রকৃত অংশগ্রহণের সুযোগ খুবই সীমিত।
প্রসঙ্গত, পুতিন নিজেও ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলতসিনের মনোনীত উত্তরসূরি হিসেবে ক্ষমতায় আসেন। ইয়েলতসিন চেয়েছিলেন তার পরিবার যেন দুর্নীতির তদন্তের মুখোমুখি না হয় এবং তার শাসনের কিছু গণতান্ত্রিক সংস্কার টিকে থাকে।
তথ্যচিত্রে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও মন্তব্য করেন পুতিন। তিনি বলেন, রাশিয়ার হাতে যথেষ্ট সামর্থ্য ও শক্তি আছে যুদ্ধকে যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং এর জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে সন্দিহান। তিনি বলেন, "আমরা জানি আমরা কাদের মুখোমুখি। আমরা তাদের বিশ্বাস করি না।"
আঁখি