
ছবি: সংগৃহীত
অ্যাজমা একটি দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসযন্ত্রের রোগ, যার উপসর্গ হিসেবে থাকে শ্বাসকষ্ট, কাশি এবং হুইজিং। গ্রীষ্ম এবং বসন্তকাল অ্যাজমার উপসর্গ বাড়াতে পারে, তবে অনেক সময় আমাদের খাওয়া-দাওয়াও এর জন্য দায়ী হতে পারে। এই বিষয়ে এইচটি লাইফস্টাইল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্স সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, শালিমার বাগ-এর পালমোনোলজি বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. ইন্দর মোহন চুঘ কিছু খাবারের বিষয়ে সতর্ক করেছেন যা অ্যাজমা বাড়াতে পারে।
এই ৬টি খাবার এড়িয়ে চলুন:
১. ঠান্ডা খাবার:
বরফ, আইসক্রিম বা নাইট্রো পাফ জাতীয় খুব ঠান্ডা খাবার গলার ও শ্বাসনালির আস্তরণে জ্বালাভাব সৃষ্টি করতে পারে এবং অ্যাজমার উপসর্গ বাড়াতে পারে। বিশেষ করে নাইট্রো পাফ-এ থাকা তরল নাইট্রোজেন খাবারের পাইপ এবং শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।
২. রাস্তার খাবার:
চাট, গোলগাপ্পা, ইমলির চাটনি ইত্যাদি খাবার রাস্তায় ধুলোবালি ও দূষণের সংস্পর্শে থাকে, যা অ্যাজমা রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া এইসব খাবারে ব্যবহৃত তীব্র মশলা উপসর্গ বাড়াতে পারে।
৩. চাইনিজ খাবার:
অনেক চাইনিজ খাবারে থাকে কৃত্রিম অ্যাডিটিভস এবং মশলাদার সস, যা অ্যালার্জেন বা উত্তেজক হিসেবে কাজ করে এবং অ্যাজমার সমস্যা বাড়ায়।
৪. প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার:
চিপস, ফ্রোজেন মিলস, জুসের প্যাকেট ইত্যাদিতে থাকা সংরক্ষণকারী রাসায়নিক পদার্থ অ্যাজমা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫. শুকনো ফল ও আচারজাত খাবার:
শুকনো ফল বা আচার অনেক সময় অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।
৬. অ্যাসপিরিন, কফি এবং নির্দিষ্ট অ্যালার্জেনসমূহ:
অনেকের ক্ষেত্রে ক্যাফেইন বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খেলে খারাপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এছাড়া যেসব খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে (যেমন পিনাট, দুগ্ধজাত খাবার), সেগুলোও কঠোরভাবে এড়িয়ে চলা উচিত।
কী খাবেন অ্যাজমা কমাতে?
ডা. চুঘ জানান, নিচের খাবারগুলো অ্যাজমার উপসর্গ কমাতে সহায়ক হতে পারে:
তাজা ফল ও সবজি: ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ এই খাবারগুলো প্রদাহ কমায় এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
ভিটামিন ডি-এর উৎস: ডিম, দুধ এবং রোদ—এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও অ্যাজমার ঝুঁকি কমায়।
ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ খাবার: বাদাম, বীজ এবং ব্রোকলি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
বাসায় তৈরি হালকা মসলাযুক্ত খাবার: বাড়িতে রান্না করা খাবার খেলে বাইরের উত্তেজক উপাদান এড়ানো যায়।
রুম টেম্পারেচারের খাবার: খুব ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলা এবং ঘরের তাপমাত্রায় থাকা খাবার খেলে শ্বাসনালির সংকোচন এড়ানো যায়।
সূত্র: https://shorturl.at/owybX
মিরাজ খান