ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

রোজ চিয়া সিড খান? এই ৫ কারণে আজই বন্ধ করা উচিত

প্রকাশিত: ১৪:৩০, ৬ মে ২০২৫

রোজ চিয়া সিড খান? এই ৫ কারণে আজই বন্ধ করা উচিত

ছবি: সংগৃহীত।

বর্তমানে সুপারফুডের তালিকায় অন্যতম নাম চিয়া সিড। ক্ষুদে এই বীজে রয়েছে ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নানা ধরনের খনিজ উপাদান। অনেকেই ওজন কমাতে, হজম শক্তি বাড়াতে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত চিয়া সিড খাচ্ছেন।

তবে "সুপারফুড" মানেই যে সবার জন্য উপযোগী, তা কিন্তু নয়। প্রতিদিন চিয়া সিড খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা জানা জরুরি। বিশেষ করে কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় এই বীজ ক্ষতির কারণও হতে পারে।

নিচে এমন ৫ ধরনের মানুষের কথা তুলে ধরা হলো—যাদের চিয়া সিড এড়িয়ে চলাই ভালো:

১. অ্যালার্জিতে ভুগছেন যাঁরা
চিয়া সিডে থাকা কিছু প্রোটিন উপাদানে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হতে পারে। ত্বকে র‍্যাশ, বমি, চুলকানি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। আগে থেকে কারও কোনো ফুড অ্যালার্জি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো।

২. রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাচ্ছেন যাঁরা
চিয়া সিডে রয়েছে উচ্চমাত্রার ওমেগা-৩, যা রক্ত তরল রাখে। যারা আগে থেকেই ব্লাড থিনার (যেমন ওয়ারফারিন) নিচ্ছেন, তাঁদের জন্য অতিরিক্ত রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

৩. কম রক্তচাপ বা হাইপোটেনশনে ভুগছেন
চিয়া সিড রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই যাদের প্রেসার স্বাভাবিকের নিচে থাকে বা হাইপোটেনশনের ওষুধ খান, তাঁদের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি রক্তচাপ কমিয়ে বিপদ ঘটাতে পারে।

৪. অন্ত্রের বা হজমের সমস্যা আছে যাঁদের
চিয়া সিড ফাইবারে ভরপুর। এটি সাধারণত হজমে সহায়ক হলেও যাদের আগে থেকেই গ্যাস্ট্রিক, ব্লোটিং বা আইবিএস (Irritable Bowel Syndrome) আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে পেট ফুলে যাওয়া বা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।

৫. গর্ভবতী বা স্তন্যদায়ী মায়েরা
চিয়া সিড নিয়ে গর্ভাবস্থায় খাওয়ার পর্যাপ্ত গবেষণা নেই। তাই চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া এটি খাওয়া ঠিক নয়। কখনো কখনো হরমোনাল ভারসাম্যেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হয়।

তবে কারা খেতে পারেন?
স্বাস্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্করা দিনে ১–২ চা চামচ চিয়া সিড পানিতে ভিজিয়ে খেতে পারেন। তবে যেকোনো সুপারফুডের ক্ষেত্রেই মনে রাখা উচিত—সঠিক পরিমাণে ও ব্যক্তিগত শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে খাওয়াই হলো বুদ্ধিমানের কাজ।

চিয়া সিড নিঃসন্দেহে উপকারী, তবে সবাইকে এক মাপকাঠিতে মাপা যায় না। নিয়মিত খাওয়ার আগে নিজের শারীরিক অবস্থান ও প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

নুসরাত

×