
ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে তিনি গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-এর উদ্দেশে রওনা হন।
এর আগে সোমবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি। পথে কাতারের হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ ঘণ্টার বিরতি নিয়ে জ্বালানি নেয়।
খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কয়েকটি নির্দেশনাও জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী :
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি : বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত
ছাত্রদল : লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত
যুবদল : খিলক্ষেত থেকে হোটেল র্যাডিসন পর্যন্ত
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি : হোটেল র্যাডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত
স্বেচ্ছাসেবক দল : আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত
কৃষক দল : বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত
শ্রমিক দল : কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত
ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল : শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত
পেশাজীবী সংগঠনগুলো : বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত
মহিলা দল : গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত
জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা : গুলশান-২ গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিএনপির নেতাকর্মীরা যার যার সুবিধামতো অবস্থান নেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, নেতা-কর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে রাস্তার পাশে দাঁড়াবেন; কারো মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বা গাড়ির পেছনে পদযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২০০৮ সালে দেশত্যাগের পর প্রায় দেড় দশক পর দেশে ফিরলেন বেগম জিয়া। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে উচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা বেশিরভাগ মামলাই হয়রানিমূলক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
নুসরাত