
ছবিঃ সংগৃহীত
বরিশালের নতুলাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন হাজেরা খাতুন সড়ক ও আশপাশের গলিগুলোতে হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়ে হাজার হাজার কাটা টাকা। ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের টুকরোগুলো রাস্তায় উড়তে থাকে বাতাসে। অনেক নোট গোলাকৃতি, আবার কিছু লম্বা আকৃতিতে কাটা, দেখে বোঝা যায় যে কাটার জন্য কোনো যান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরিয়ে এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান। কেউ কেউ বলেন, “প্রায় কোটি টাকার মতো মনে হয়েছে। পুরো রাস্তায় টাকাই টাকায় ছড়িয়ে ছিল।” ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমি এখান দিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি রাস্তায় ১০০ ও ১০০০ টাকার টুকরো টুকরো নোট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।”
ঘটনাটি জানাজানি হতেই কৌতূহল ছড়িয়ে পড়ে, এবং আশপাশের অনেক শিশু পলিথিনের ব্যাগে ভরে এসব টাকার টুকরো সংগ্রহ করতে শুরু করে। যদিও বড়রা এই দৃশ্য দেখে হতাশ হন, কারণ তারা বুঝতে পারেন এগুলো অচল ও কাটা টাকা।
ঘটনার ব্যাখ্যায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, “এসব টাকাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ছেঁড়া ও অচল নোট। এগুলো অবৈধ কোনো টাকা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত পুরনো ও ছেঁড়া নোট ধ্বংস করে এবং এ কাজে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে তাদের একটি চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আওতায় এসব কাটা টাকা গার্বেজ গ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত এসব নোট পরিবহনের সময় বস্তা ছিঁড়ে কিছু কাটা টাকা রাস্তায় পড়ে গেছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে আমরা সতর্ক থাকব।”
মারিয়া