ছবিঃ সংগৃহীত
১.অ্যাসিটাইলকোলিন কেন গুরুত্বপূর্ণ
এআইআইএমএস, নয়াদিল্লি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত খ্যাতনামা নিউরোসার্জন ডা. অরুণ এল. নায়েক মনে করেন, স্মৃতি ও মনোযোগ বাড়ানোর চাবিকাঠি হলো অ্যাসিটাইলকোলিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার। এটি আমাদের মস্তিষ্কের মনোযোগ, শেখা ও স্মৃতি সংরক্ষণের মতো কাজ পরিচালনায় সহায়তা করে। এই রাসায়নিকের ঘাটতি ভুলে যাওয়া ও মানসিক দক্ষতা কমিয়ে দিতে পারে।
২. ঘুম হলো মস্তিষ্কের জ্বালানি
প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা গুণগত ঘুম খুব জরুরি। গভীর ঘুমের সময় মস্তিষ্ক অ্যাসিটাইলকোলিনসহ নানা নিউরোট্রান্সমিটার উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করে। দীর্ঘমেয়াদি ঘুমের ঘাটতি মনোযোগ ও স্মৃতি দুর্বল করে এবং মস্তিষ্কের পুনরুদ্ধারে বাধা দেয়।
৩. মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করুন
ধাঁধা, বই পড়া, দাবা খেলা বা নতুন দক্ষতা শেখার মতো মানসিকভাবে উদ্দীপক কাজ অ্যাসিটাইলকোলিন বাড়াতে সহায়তা করে। এই ধরণের চর্চা নিউরনকে সক্রিয় রাখে ও বয়সজনিত মানসিক ক্ষয় রোধ করে।
৪. প্রতিদিন মাইন্ডফুলনেস অনুশীলন করুন
ধীরে ধীরে এবং নিয়মিত মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমালে কর্টিসলের মাত্রা হ্রাস পায় এবং নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্য রক্ষা পায়। দিনে মাত্র ১০–১৫ মিনিট এই অনুশীলন মন ও স্নায়ুতন্ত্রকে রিফ্রেশ করতে সহায়ক।
৫. কোলিন সমৃদ্ধ খাবারের শক্তি
কোলিন হলো অ্যাসিটাইলকোলিন তৈরির মূল উপাদান। ডিমের কুসুম এই পুষ্টির দারুণ উৎস—প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে দৈনিক চাহিদার অর্ধেক পূরণ হয়। এছাড়াও কোলিনযুক্ত অন্যান্য খাবার স্মৃতি ও শেখার ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৬. মস্তিষ্কবান্ধব খাবার খান
শাকসবজি, বাদাম, বীজ ও চর্বিযুক্ত মাছ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। পালং শাক ও কেলে নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়ক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেয়। সালমনের মতো মাছ অ্যাসিটাইলকোলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় ও মস্তিষ্কের প্রদাহ কমায়। তাই মস্তিষ্কের ভবিষ্যৎ সুস্থতার জন্য আজ থেকেই সচেতন খাবার নির্বাচন করুন।
মুমু
