ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

যে ৭টি খাবার লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে!

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৯ জুন ২০২৫

যে ৭টি খাবার লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে!

লিভার আমাদের শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত, যার মধ্যে রয়েছে ডিটক্সিফিকেশন (বিষাক্ত উপাদান অপসারণ), প্রোটিন উৎপাদন এবং হজম প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জৈব রাসায়নিক তৈরি। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির স্বাস্থ্য নির্ভর করে অনেকাংশেই আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের ওপর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু সহজলভ্য ও সুস্বাদু খাবার রয়েছে যা নিয়মিত খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং বিভিন্ন লিভার রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। চলুন জেনে নিই এমনই সাতটি খাবার সম্পর্কে—

১. ক্রুসিফেরাস সবজি 

ব্রোকলি, ফুলকপি, কেল ও ব্রাসেলস স্প্রাউটের মতো ক্রুসিফেরাস সবজিতে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেট নামের এক বিশেষ উপাদান। এটি লিভারে ডিটক্সিফিকেশন এনজাইম তৈরিতে সাহায্য করে, যা শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিতে কার্যকর। এই সবজিগুলো খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখলে লিভারের ওপর চাপ কমে।

২. রসুন

রসুনে থাকা অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম উপাদান দুটি লিভার পরিষ্কারে সহায়ক এবং কোষকে রক্ষা করে। এগুলো লিভারের এনজাইম সক্রিয় করে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে।

৩. বাদাম

কাঠ বাদাম, আখরোট ও চিনা বাদাম লিভারের জন্য উপকারী চর্বি, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। এগুলো প্রদাহ কমায় এবং লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। তবে ক্যালোরি বেশি হওয়ায় পরিমিত খাওয়া জরুরি।

৪. ওটস

ওটসে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার, যা হজমে সহায়ক এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান অপসারণে সহায়তা করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখেও লিভারের ওপর চাপ কমায়।

৫. বেরি জাতীয় ফল

ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি ও ক্র্যানবেরির মতো বেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই উপাদান লিভারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, প্রদাহ কমায় এবং কোষীয় কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

৬. কফি

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত কফি পান লিভারের সিরোসিস ও ফাইব্রোসিস প্রতিরোধে সহায়ক। কফিতে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাফেস্টল প্রদাহ কমায় ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তবে অতিরিক্ত চিনি বা ক্রীম না দিয়ে ব্ল্যাক কফি পান করাই ভালো।

৭. গ্রিন টি

গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের এনজাইম উন্নত করতে, চর্বি জমা কমাতে ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস রোধে কার্যকর। এটি নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজসহ বিভিন্ন লিভার সমস্যা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।

লিভার ভালো রাখতে ও রোগ প্রতিরোধে সক্ষম রাখতে খাবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব উপকারী খাবার যুক্ত করলে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ লিভার নিশ্চিত করা সম্ভব।

রিফাত

×