সংস্কার, গণহত্যা বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ১৬ দফা ঘোষণাপত্র দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন দলের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
দুপুরে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখো নেতাকর্মী ঢাকায় সমবেত হন। ৬৮ একরের উদ্যান ছাড়িয়ে রাস্তা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে মানুষের ঢল।
সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামি, এনসিপি, গণ অধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলনসহ ডজনখানেক ইসলামিক ও সমমনাভিত্তিক দল অংশ নেয়।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনকে জনগণের দাবি উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। সংসদের প্রস্তাবিত উভয় কক্ষেই এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হতে হবে। এটি হলে কোনো দল ‘জালেম’ হওয়ার সুযোগ পাবে না।
মুফতি রেজাউল করিম আরও বলেন, “আমরা কেউই স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি চাই না। তাই প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন ছাড়া অন্য কিছু এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়।”
সভায় গণ অধিকার পরিশোধের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, কোনো দুই-একটি দলের উপরে ভিত্তি করে, দুই-একটি দলের কথায় সংস্কারের নকশায় পরিবর্তন আনা যাবে না।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, পিআর পদ্ধতিতে যদি ভোট হয় হিন্দু সম্প্রদায় ভোট দিতে যাবে, না হলে যাবে না। তিনি একই সঙ্গে পৃথক নির্বাচন পদ্ধতিরও দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘মাইনোরিটিদের প্রতিনিধিত্বের সিদ্ধান্ত তারা নেবে, তারা নিজেদের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।’
মহাসমাবেশে অন্যদের মধ্যে জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন রাজি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মূসা বিন ইজহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সানজানা
