ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাকিব-মুশফিক রেকর্ড জুটিতেই পুঁজি

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সাকিব-মুশফিক রেকর্ড জুটিতেই পুঁজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহীমকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। যেন থেকেও নেই। তবুও সবার মনে বিশ্বাস ছিল, সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি ঠিকই করে দেখাবেন এ দুই নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার। ঠিক তাই করলেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন। দুইজনই করলেন অর্ধশতক। সাকিবের ব্যাট থেকে এলো ৬৩ রান। আর মুশফিকুর করলেন ৭১ রান। শুধু কী জ্বলে উঠলেন, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে এ দুইজন ১১৪ রানের (পঞ্চম উইকেটে) সর্বোচ্চ রেকর্ড জুটিও গড়ে ফেললেন। সেই জুটিতে বাংলাদেশও বাজিমাত করল। অথচ এ দুইজনের জুটি শুরুর আগে বাংলাদেশ বিপদেই পড়ে গিয়েছিল। ১১৯ রানেই চার উইকেটের পতন ঘটে। সেখান থেকে সাকিব-মুশফিক মিলে একটু একটু করে এগিয়ে গিয়ে দলকে ২৩৩ রানে নিয়ে যায়। জয়ের ভীত গড়ে দেয়। এমন সময়ে হামিদ হাসানের বলে সাকিব ব্যাট চালান। কিন্তু দুর্ভাগ্য ব্যাটে বল লাগার পর পায়ে লেগে বোল্ড আউট হয়ে যান সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৫১ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রান। এ রান সাকিবকে আবার এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৪০০০ হাজার রান করে দেখান সাকিব। সাকিবের আউটের পরও উইকেট আঁকড়ে থাকেন মুশফিকুর। তবে খুব বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেননি। দলীয় ২৪৭ রানে মোহাম্মদ নবির বলে আউট হয়ে যান মুশফিক। ৫৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭১ রান করেন মুশফিক। সাকিবের পর মুশফিকও আউট হন। দলও ততক্ষণে বড় স্কোরই গড়ে ফেলে। যে স্কোর আরও বাড়িয়ে নেন মাশরাফি। দল শেষপর্যন্ত ২৬৭ রান করে। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যা কি না প্রথম। সাকিব-মুশফিক জুটিতেই তা সম্ভব হয়েছে। ম্যাচটিতে সাকিব শুধু চার হাজারি ক্লাবেই নিজের নাম লেখাননি, করেছেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি অর্ধশতকও। এখন সাকিবের ঝুলিতে ২৮ অর্ধশতক জমা হয়েছে। যা কিনা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্ধশতক করার রেকর্ড। সাকিবের পরে আছেন তামিম (২৭টি অর্ধশতক)। আর মুশফিক ১৯ অর্ধশতক পূরণ করেছেন। বিশ্বকাপে এর আগে বাংলাদেশের কোন শতক জুটিই ছিল না। সর্বোচ্চ ছিল ২০১১ সালের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় উইকেটে হল্যান্ডের বিপক্ষে করা ইমরুল কায়েস ও জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৯২ রানের জুটি। সেই জুটিকেও পেছনে ফেললেন সাকিব-মুশফিক। দলকেও বাঁচালেন। বিশ্বকাপে প্রথম জয়ে নিজেদের মেলেও ধরলেন। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব সেই জয়ে বিশেষ ভূমিকা নিলেন। সঙ্গে মুশফিকও আসল মঞ্চে নিজেকে চিনিয়ে দিলেন। বাংলাদেশও বাজিমাত করল।
×