ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

এই যুগের “রহিম রূপবান”: ষাটোর্ধ্ব নারীর সঙ্গে প্রেম, অতঃপর রহস্যজনক মৃত্যু

রফিকুল ইসলাম রফিক, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম 

প্রকাশিত: ১৭:১৫, ২৯ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৭:১৬, ২৯ জুলাই ২০২৫

এই যুগের “রহিম রূপবান”: ষাটোর্ধ্ব নারীর সঙ্গে প্রেম, অতঃপর রহস্যজনক মৃত্যু

ছবি: জনকণ্ঠ

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে "রহিম রূপবান" গল্পের মতো একটি ব্যতিক্রমী প্রেমঘটিত সম্পর্কের অবসান ঘটেছে এক রহস্যজনক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ৬২ বছর বয়সী রোকেয়া বেগমের সঙ্গে ১৯ বছর বয়সী মিথুন রায়ের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্ক থেকে জন্ম নেয় নানা জটিলতা, যা শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত গড়িয়েছে।

নিহত রোকেয়া বেগম রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের মীরেরবাড়ি বাঙ্গালপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের বিধবা স্ত্রী। তিনি একসময় এলাকার নির্জন জীবনযাপনকারী নারী হিসেবে পরিচিত থাকলেও, পার্শ্ববর্তী ছত্রজিৎ গ্রামের তরুণ মিথুন রায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এলাকাবাসীর চোখ এড়িয়ে যায়নি।

জানা গেছে, (২৬ জুলাই) শনিবার রাতে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন মিথুন, কিন্তু রোকেয়া তাতে রাজি না হলে দু’জনের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এরপর রোকেয়া শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন। রোববার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানেই সোমবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর এলাকাবাসী মিথুনকে রোকেয়ার বাড়ি থেকে আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখে। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

রাজারহাট থানার ওসি মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, “নিহত নারীর সঙ্গে যুবকের সম্পর্কের তথ্য পেয়েছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এই ঘটনা রাজারহাটসহ পুরো কুড়িগ্রাম জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বয়সের বিশাল ব্যবধান, সামাজিক বাস্তবতা ও আইনগত প্রশ্নকে ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

আবির

আরো পড়ুন  

×