
ছবি: সংগৃহীত
“ক্ষুধা দিয়ে মানুষ মারা যায়, শত্রু নয়”—এই কঠিন বাক্যে গাজার মানুষের জন্য হৃদয় নিংড়ানো প্রতিবাদ জানালেন বিশ্বের ১০০ হাজারেরও বেশি ইহুদি ধর্মগুরু। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এসব ধর্মীয় নেতা এক ঐতিহাসিক খোলা চিঠিতে ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, যেখানে গাজাবাসীর উপর চাপিয়ে দেওয়া দুর্ভিক্ষসদৃশ অবরোধকে তাঁরা ঘোষণা করেছেন এক ‘নির্মম মানবিক অপরাধ’ হিসেবে।
তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরাইল পরিকল্পিতভাবে খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে গাজার সাধারণ জনগণকে একটি ‘ক্ষুধার যুদ্ধের’ ভেতর ঠেলে দিয়েছে। এটি আত্মরক্ষার কোনো কৌশল নয়, বরং মানবতাবিরোধী এক নিষ্ঠুর নীতি।
চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন: “একজন মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়া কখনোই আত্মরক্ষার অজুহাতে বৈধ হতে পারে না।” এ কথার ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে এক গভীর ধর্মীয় ও নৈতিক উদ্বেগ।
গাজায় বর্তমানে লাখ লাখ মানুষ পর্যাপ্ত খাদ্য পাচ্ছে না। শিশুরা মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। হাসপাতালগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ওষুধ কিংবা জ্বালানি। ফলে চিকিৎসা, পুষ্টি ও জীবন—সবকিছুই ধ্বংসের মুখে। এই প্রেক্ষাপটে ধর্মগুরুদের মতে, যুদ্ধ নয়—এটা বরং পরিকল্পিত গণদুর্ভোগের রূপরেখা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাধারণত ইহুদি ধর্মগুরুরা রাজনৈতিক চাপের কারণে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলেন না। কিন্তু এবার গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তাঁদের নীরবতা ভেঙে দিয়েছে। ধর্মীয় বিবেক ও মানবতাবোধ তাঁদের বাধ্য করেছে সরব হতে।
আসিফ