
ছবি: সংগৃহীত।
চীনের সিনজিয়াং প্রদেশে এমন একটি কারাগার আছে, যেখানে মুসলিম হওয়াই প্রধান অপরাধ। এখানে উইঘুর মুসলমানদের জোরপূর্বক বন্দি করে তাদের ইসলামিক বিশ্বাস মস্তিষ্ক থেকে মুছে ফেলার জন্য নির্মম শাস্তি ও নির্যাতন চালানো হয়।
এই কারাগারে বন্দীদের নামাজ পড়া, রোজা রাখা, কোরআন মুখস্থ করা—এসবকেই অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। মুসলিম নারীদের জোরপূর্বক বন্ধা করে দেওয়া হয় যেন তারা ভবিষ্যতে সন্তান জন্ম দিতে না পারে। এমনকি নারীবন্দীদের গণধর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে শত শত বন্দীর সামনে।
চীনের এই “পুনঃশিক্ষা শিবিরগুলো” বর্ণনা করা হয় ভোকেশনাল ট্রেনিং হিসেবে, যেখানে বন্দিদের চীনা কমিউনিস্ট পার্টির চিন্তাধারা ও সিজিংপিংয়ের বক্তব্য মুখস্থ করতে বাধ্য করা হয়। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এগুলোকে গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই ক্যাম্পগুলোকে ‘জেনোসাইড’ বা গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
মিহিরিগুল তুরসুন, দূরসুনায় জিয়াউদুন ও সাইরাগো সাউটবে সহ বহু বন্দীর বর্ণনায় উঠে এসেছে সেখানকার নিষ্ঠুর নির্যাতন, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার।
বিশ্ব যখন মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলছে, তখন এখানে কেবল ইসলামের প্রতি আস্থা রাখার কারণে মানুষ শারীরিক ও মানসিক মৃত্যুর মুখে পড়ছে।
নুসরাত