
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযানে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক মহলে চাপ বাড়তে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষিতে বেলজিয়াম একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটির ফেডারেল প্রসিকিউটর অফিস দুই ইসরায়েলি সৈনিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ICC) পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযুক্তরা গিভাতি ব্রিগেডের সদস্য, এবং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে হিন্দ রাজাব ফাউন্ডেশন ও গ্লোবাল লিগ্যাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (GLAN)। গিভাতি ব্রিগেড ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি এলিট পদাতিক ইউনিট, যা মূলত গাজা, পশ্চিম তীর ও দক্ষিণ ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও আক্রমণাত্মক অভিযানে ব্যবহৃত হয়।
জানা গেছে, এই দুই সৈনিক বেলজিয়ামের টুমোরোল্যান্ড সংগীত উৎসবে নিজেদের ব্রিগেডের পতাকা উড়িয়ে উপস্থিত হন এবং সেখানেই বেলজিয়ান পুলিশের নজরে আসেন। পরে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হলেও বিচার না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিকে ‘দণ্ডহীনতার সংস্কৃতি’ বলে অভিহিত করেছে হিন্দ রাজাব ফাউন্ডেশন। তারা দাবি করেছে, শুধুমাত্র গ্রেফতার করাই যথেষ্ট নয়, এই অভিযুক্তদের হাজতে রাখা বা বেলজিয়ামে বিচার করা উচিত, অথবা প্রত্যর্পণ করে ICC-তে পাঠানো উচিত।
এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি “স্ট্র্যাটেজিক পিভট” হিসেবে দেখছে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এদিকে ইসরায়েল বেলজিয়াম দূতকে ডেকে কড়া আপত্তি জানিয়েছে। তবে বেলজিয়াম এরইমধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার আহ্বানে ২৭টি দেশের সঙ্গে এক নীতিগত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে।
যদিও বেলজিয়াম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করেনি, তবুও এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক চাপের দিক থেকে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মুমু ২