
ছবি: সংগৃহীত
জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের বিখ্যাত নুরেমবার্গ চিড়িয়াখানা সম্প্রতি ১২টি সম্পূর্ণ সুস্থ গিনি বাবুন হত্যা করেছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও পর্যাপ্ত জায়গার অভাবেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
ডিডব্লিউ নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, বাবুনদের দলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০-এ, যেখানে তাদের নির্ধারিত আবাসস্থল মাত্র ২৫টি বাবুন ধারণে সক্ষম। স্থান সংকটের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণহীন প্রজনন ও পুনর্বাসনের ব্যর্থ চেষ্টা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জনসম্মুখে জানায় যে তারা কঠিন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটতে বাধ্য হতে পারে। তখন থেকেই প্রাণী অধিকার কর্মীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দেয়। তাদের মতে, এই হত্যাকাণ্ড ছিল সম্পূর্ণ অনাবশ্যক এবং নিষ্ঠুর।
মঙ্গলবার চিড়িয়াখানাটি “কারিগরি কারণে” জনসাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয়, যা অনেকেই মনে করছেন বাবুন হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
প্রো ওয়াইল্ডলাইফ নামক একাধিক প্রাণী অধিকার সংগঠন এই ঘটনাকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছে এবং তারা ইতিমধ্যেই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা দায়ের করেছে।
চিড়িয়াখানার পরিচালক ড্যাগ এনকে বিবিসিকে বলেন, “বছরের পর বছর ধরে এই বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করেই আমরা সিদ্ধান্তে এসেছি। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে শেষ উপায় হিসেবেই এটি গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব জু অ্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়া (EAZA)-র গাইডলাইনের আলোকে তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি এড়াতে দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি কর্তৃপক্ষ।
মুমু ২