
ছবি: সংগৃহীত।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, সেগুলোর আইনি নিশ্চয়তা না মিললে জুলাই সনদ গ্রহণ করবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনসিপি)। একই সঙ্গে, ২০১৮ সালের আন্দোলন উপেক্ষা করে তৈরি সনদকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনা হয়। আলোচনার মূল বিষয়গুলো ছাড়িয়ে এবার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান ও জুলাই সনদের ভবিষ্যৎ।
দলটি যুগ্ম আহ্বায়ক জাভেদ রাসিন বলেছেন, সংলাপে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, সেগুলো আইনি কাঠামোর মাধ্যমে বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে। অন্যঐথায় জুলাই সনদ গ্রহণ করবে না এনসিপি। সনদের ভিত্তিতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন হতে হবে।
তিনি বলেন, কমিশন সংস্কারের জন্য গণভোট, গণপরিষদ, অধ্যাদেশসহ ছয়টি পদ্ধতির কথা বললেও তা নিয়ে আলোচনা না করেই হঠাৎ করে জুলাই সনদের খসড়া প্রকাশ করেছে, যা ঠিক হয়নি।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আশা করি, বুধবারের আলোচনায় অগ্রগতি হবে।
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, সনদের খসড়া বিপজ্জনক। এতে ছলচাতুরীর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। শুধু ২০২৪ সালের জুলাই গণআন্দোলন রয়েছে। ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন নেই। এনসিপি জুলাই সদন প্রসঙ্গে যা বলেছে, তা স্রেফ ভন্ডামি।
এ নিয়ে বিএনপির বক্তব্য, “নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করে কোনো কার্যকর সরকার পরিচালনা সম্ভব নয়। জনগণের কাছে যেমন জবাবদিহিতা থাকতে হবে, তেমনি কার্যক্ষমতাও নিশ্চিত করতে হবে।”
এদিকে সংলাপের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনার জানান, “জাতীয় সনদের একটি খসড়া ইতোমধ্যে দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। কেউ কেউ মৌখিকভাবে কিছু সংশোধনী দিয়েছেন, আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে লিখিত মতামত দিতে বলা হয়েছে। এখনও বড় কোনো আপত্তি আসেনি।”
তবে সংলাপে এখনো রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা এবং নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্বের প্রশ্নে আলোচনা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষক ড. আলী রিয়াজ।
নুসরাত