ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

নিখোঁজ পোষা প্রাণী নিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ: প্রযুক্তিই এখন ভরসা

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ৩০ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ০৩:২৮, ৩০ জুলাই ২০২৫

নিখোঁজ পোষা প্রাণী নিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ: প্রযুক্তিই এখন ভরসা

ছবি: সংগৃহীত

আপনার পোষা প্রাণী যদি দীর্ঘ সময় বাইরে ঘোরাঘুরি করে কিংবা সুযোগ পেলেই পালিয়ে যেতে চায়, তবে সেটি যথাসময়ে না ফেরায় দুশ্চিন্তা বাড়তেই পারে। প্রযুক্তি এখন এই উদ্বেগ দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

কীভাবে কাজ করে এই ‘পেট-টেক’?

পোষা প্রাণীর জন্য তৈরি ট্র্যাকিং ডিভাইসগুলো সাধারণত কলারে লাগানো হয় এবং সেগুলো জিপিএস সিগনালের মাধ্যমে প্রাণীর অবস্থান নির্ধারণ করে। এরপর ওই তথ্য মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দেয় মালিককেহোম ওয়াই-ফাই বা ৪জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।

Tractive, Jiobit এবং Pawfit—এই তিনটি জনপ্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড বিড়াল ও কুকুর উভয়ের জন্য ট্র্যাকার তৈরি করে। বিড়ালের ডিভাইসগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট ও হালকা।

Fi ও Whistle নামক কোম্পানিগুলোর কলার বিল্ট-ইন ট্র্যাকার যুক্ত রয়েছে কুকুরের জন্য। আর PetTracer বিড়ালের কলার, যা জিপিএস ও রেডিও সিগনাল একসঙ্গে ব্যবহার করে।

FitBark নামের আরেকটি ব্র্যান্ড Apple Watch অ্যাপের মাধ্যমে পোষা প্রাণীর অবস্থান ও স্বাস্থ্যগত তথ্য জানায়।

সুরক্ষিত অঞ্চল নির্ধারণ

বেশিরভাগ ট্র্যাকারেই আপনি একটি সেফ জোন বা ‘নিরাপদ অঞ্চল’ নির্ধারণ করতে পারবেনযেমন আপনার বাড়ি ও আশপাশের এলাকা। পোষা প্রাণী সেই সীমানা পার করলেই আপনাকে সতর্কবার্তা দেবে অ্যাপ।

এই ট্র্যাকারগুলো সাধারণত ৪জি এলটিই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, যেটা ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় বেশ ভালো কাজ করেযতক্ষণ না আপনি কোনো একদম দুর্গম জায়গায় আছেন।

খরচ কত?

একেক ব্র্যান্ড ও মডেল অনুযায়ী দাম ভিন্ন। বেশিরভাগ ডিভাইস ১০০ ডলারের নিচে বিক্রি হয়। তবে মনে রাখতে হবেএগুলো চালাতে মোবাইল সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয়, যা বছরে প্রায় ১০০ ডলার বা তার বেশি হতে পারে।

তবে অনেক পোষা প্রাণীর মালিকের কাছে এটাই মনে প্রশান্তির বিষয় যে তারা প্রাণীটির অবস্থান জানতে পারছেন, বলেন ট্র্যাকটিভ-এর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।

ব্যাটারি ও অন্যান্য বিষয়

এই কলারগুলোতে চার্জযোগ্য ব্যাটারি থাকে, যা সাধারণত ২-৩ দিন পর্যন্ত চলে। তবে আশপাশের সিগনালের শক্তির ওপর নির্ভর করে ব্যাটারি দ্রুত শেষও হয়ে যেতে পারে। অনেকে সেফ জোনে থাকলে ডিভাইস থেকে আপডেট বন্ধ রাখেন ব্যাটারি বাঁচাতে।

এছাড়া মানুষজনের ফিটনেস ঘড়ির মতো, এই ডিভাইসের অ্যাপগুলোও পোষা প্রাণীর দৈনন্দিন চলাফেরা, বিশ্রাম ও ব্যায়ামের হিসাব রাখে।

আপনার পোষা প্রাণীকে সুরক্ষিত রাখতে প্রযুক্তির ব্যবহার আজকাল অনেক সহজলভ্য হয়েছে। তবে প্রযুক্তি কখনোই মানুষের নজরদারি বা ভালোবাসার বিকল্প হতে পারে না। তাই ট্র্যাকার ব্যবহার করলেও, প্রাণীটির প্রতি দৃষ্টি রাখা আর দায়িত্বশীল থাকা সবচেয়ে জরুরি।

 

সূত্র: এপি।

রাকিব

×