ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

সাংবাদিকের দৃষ্টিতে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান

খালিদ ইবনে আমিন

প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ৯ জুলাই ২০২৫

সাংবাদিকের দৃষ্টিতে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান

‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার ‘তুমি কে, আমি কে, রাজাকার’। নিশ্চয়ই এক বছর আগে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই গগনবিদারী স্লোগানের কথা দেশবাসী ভুলে যায়নি। সাড়ে ১৫ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, গুপ্তহত্যা, জেল-জুলুম, নির্যাতন, অত্যাচার-উৎপীড়নের স্টিমরোলার, এমনকি ভিন্ন মতাদর্শের লোকদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডে শিকার। সেই বিভীষিকাময় দুঃশাসনের কথা দেশের আম-জনতার হৃদয়ে এখনো বহমান। ছাত্র-জনতার এক রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাই একমাত্র স্বৈরাচারী সরকারপ্রধান, যিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন, ৫ আগস্ট ২০২৪। দৃশ্যমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমেও দুঃশাসনকে আড়াল করতে পারেনি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। জনরোষের তীব্রতা এতটাই প্রকট ছিল যে, আওয়ামী লীগ সরকারের চূড়ান্ত পতন ঠেকাতে পারেনি সেনাবাহিনীও। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সেজন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে জাতি হিসেবে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের পর গত ৫৩ বছরে বাংলাদেশে বহু আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে, কিন্তু ২৪-এর গণবিপ্লবের মতো কোনো গণ-অভ্যুত্থান হয়নি, তা সরল বাক্যে বলাই যায়। ১৯৪৭-এ দেশ ভাগের পর, ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসন-শোষণের নাগপাশ গলিয়ে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ষড়যন্ত্র ও সাহায্যে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পাই। পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তান, ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার জেনারেল অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসক এবং পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক হাই কমান্ডার আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (১৯১৫-২০০৪)। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বয়ানের কবর রচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বহু আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। নানান ঐতিহাসিক তথ্য ও প্রামাণ্য দলিল ঘেঁটে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিপুল সম্পদ ভারতীয় বাহিনী এবং অন্যান্য চক্রের দ্বারা লুটপাটের শিকার হয়েছিল। শুধু যুদ্ধ শেষে প্রায় ২০০টি রেলওয়াগন ভর্তি করে প্রায় ২৭০০ কোটি টাকার অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম লুটের অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। বর্তমানে যার বাজার মূল্য প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার। (সূত্র: ১২ মে, ১৯৭৪, দৈনিক অমৃতবাজার) এত গেল সমরাস্ত্রের বিষয়, অন্য সব বিষয় ধরলে কয়েক হাজার বিলিয়ন ডলার হবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে ভারতীয় আধিপত্যবাদী প্রচার প্রপাগান্ডায় বাংলাদেশীরা জর্জরিত, শিল্প কলকারখানায় দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ও বিস্তারে ভারতীয় আগ্রাসনের লোলুপ দৃষ্টির নগ্ন ছায়া সর্বত্রই বিরাজমান ছিল বিগত সময়ে।
৫৩ বছরের বঞ্চনা-লাঞ্ছনার অবসান ঘটেছে ২৪-এর ৫ আগস্ট। ভারতীয় আধিপত্যবাদের গালে চপেটাঘাত পড়েছে। হয়েছে দেশ প্রেমিক জনতার বিজয়। এবার বাংলাদেশ নিজ পায়ে দাঁড়াবে, আপন শক্তিতে বলয়ান হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক যতগুলো তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। গুম, খুন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডসহ আওয়ামী লীগের প্রতিটি অপকর্মেই ভারতীয় সম্পৃক্তির নগ্ন ছায়া দৃশ্যমান। এমনকি ২৪-এ জুলাই-আগস্টের গণবিপ্লবে ভারতীয় গুপ্ত বাহিনীর হিন্দি কথোপকথন শুনেছে মাঠের কর্মীরা, যা সরকারের তদন্ত কমিটির কাছে প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যে উঠে এসেছে। এসব তথ্য-উপাত্তের মিশেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র এবং কূটনৈতিক সাংবাদিক ও সৃজনশীল লেখক মুহাম্মদ নুরে আলম লিখেছেন, ‘৩৬ শে জুলাই গণঅভ্যুত্থান’।
লেখক তার লেখনীতে মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। মাঠের সাংবাদিক হওয়ায় তিনি ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে দেখেছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং ফলোআপ নিয়েছেন একান্ত আগ্রহে ও নিষ্ঠার সঙ্গে।
এই বইয়ের পাঁচটি অধ্যায়ে ২৪-এর গণবিপ্লবের বিস্তর বিবরণ তুলে ধরেছেন, পাশাপাশি কীভাবে ইতিহাসের কুখ্যাত স্বৈরাচারী, গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা, তাঁর দলীয় সমর্থক, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে এবং প্রায় ৪০ হাজার আহত ও অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে। প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা এক চোখ বা দুটো চোখের আলো হারিয়ে ফেলে চিরদিনের জন্য। কেউ কেউ শতাধিক রাবার বুলেট শরীরে বহন করে বেড়াচ্ছেন। এই বইটিতে সচিত্র প্রতিদেন এবং শহীদ ও আহতদের পরিসংখ্যান এবং বীরত্বগাঁধা জীবনের বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া বইটিতে লেখক আরও যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন, দেশে দেশে গণ-অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থানের স্লোগান। তুমি কে, আমি কে; রাজাকার, রাজাকার। একটি স্লোগান, একটি গণবিপ্লব। স্লোগানে স্লোগানে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান। স্বৈরাচারী হাসিনার কারণে যেভাবে ভেঙে পড়ে রাষ্ট্র ব্যবস্থা। খুনের পর খুন করে দানবে পরিণত হয় ছাত্রলীগ। ফ্যাসিবাদ কী? ফ্যাসিস্টদের বৈশিষ্ট্য কেমন ছিল? আদালতে কোটা বাতিল ও কোটা সংস্কার আন্দোলন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঠন। সারাদেশে শিক্ষার্থী-আ’লীগের সংঘর্ষ: ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশের গুলি। রোববার ৪ আগস্ট সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী বাহিনীর নির্বিচারে গুলি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে নির্যাতন। ছাত্র-জনতার ওপরে গুলি, দমন-নিপীড়ন; বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও গণ-অভ্যুত্থানের খবর বিশ্ব মিডিয়ায়। কারফিউ জারি ও সারাদেশে সেনা মোতায়েন; শিক্ষার্থীদের দুর্বৃত্ত আখ্যা দিয়ে দেখামাত্রই গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ। ৩ আগস্ট শনিবার ক্যান্টমেন্টে সেনাপ্রধানের বৈঠক: আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। রবিবার ৪ আগস্ট ২০২৪ গভীর রাত ১টা ৩মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এবং আবদুল কাদেরের ভিডিও বার্তা। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা, যা বললেন সমন্বয়ক নাহিদ ও আসিফ।
সোমবার ৫ আগস্ট বা ৩৬ শে জুলাই গণভবন ঘেরাও কর্মসূচি এবং শেখ হাসিনার পলায়ন। টাইমলাইনে ৩৬ শে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান : যা যা ঘটেছে। জেন-জি (জেড) বিপ্লব। গণ-অভ্যুত্থানের গান ও কবিতা। গণ-অভ্যুত্থানে কবি নজরুলের গান ও কবিতা।
সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম ও সাদিক কায়েমের বয়ানে ৩৬ শে জুলাই বিপ্লবের দিনলিপি। ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফা, পেছনের গল্প। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১৮ জুলাই ২০২৪-এর রক্তাক্ত দিনলিপি। ৩৬ শে জুলাই গণ-আন্দোলনে আলোচিত-সমালোচিত যত বক্তব্য।
আবু সাঈদকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা: অতঃপর আন্দোলন উল্কার গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। পানি লাগবে কারো, পানি পানি?-শহীদ মীর মুগ্ধ, মৃত্যুর আগেও মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেছেন মুগ্ধ। গ্রাফিতিতে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ ৮২৬ জনের খসড়া তালিকা। ৩৬ শে জুলাই গণবিপ্লবের শহীদের বীরত্বগাথা। শহীদ আবু সাঈদ যার আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়। সাঁজোয়া যান থেকে টেনে নিচে ফেলার কি নির্মম দৃশ্য; শহীদ শেখ আসহাবুল ইয়ামিন। শহীদ মো. আসাদুল্লাহ’র স্ত্রীর প্রশ্ন দুধের সন্তান নিয়ে কার কাছে যাব? ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শিশু-কিশোরের সংখ্যা ১০৫, তবে এ সংখ্যা বাড়তে পারে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে নিহত হওয়া ৮৯ শিশু-কিশোর শহীদের তালিকা। ১৪ হাফেজসহ জুলাই অভ্যুত্থানে ৭৮ জন শহীদ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের তালিকা। আহত ও পঙ্গু বীরদের কথা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান: আহতের সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাত-পা হারালেন ১৯ জনের বেশি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অন্তত ৫৫০ জন এক চোখ, কিংবা দুই চোখই হারিয়েছেন। স্থায়ী পুনর্বাসন ও চোখের আলো ফিরে পেতে চান তারা। জুলাই বিপ্লবে শহীদ শিক্ষার্থীরা এসএইচসির ফলাফল। 
পঞ্চম অধ্যায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো ৭৪৭ পুলিশ চিহ্নিত। গণ-অভ্যুত্থানে কি আমেরিকার হাত ছিল? হাসিনাকে উৎখাতে পাঁচ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র প্লট তৈরি করেছিল? আবু সাঈদের বাড়িতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জামায়াতের আমির।
গণভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢুকে লাখো ছাত্র-জনতার বিজয় উল্লাস প্রকাশ। গণভবন এখন জুলাই স্মৃতি জাদুঘর। শহীদ গোলাম নাফিজের লাশ বহনকারী রিক্সাটি গণভবনের স্মৃতি জাদুঘরে। শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথা পড়বে হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা। গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গোপন আটক কেন্দ্র আয়নাঘরের সন্ধান পেয়েছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের তিন মাসে শেখ হাসিনাসহ চিহ্নিত আওয়ামী নেতাকর্মীর নামে ৩৪৫টি মামলা।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা চায় যুক্তরাষ্ট্র। ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফার পেছনের গল্প। আগামী দিনে দেশে ও বিদেশে যারাই ফ্যাসিবাদবিরোধী ও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী গবেষণা করবে তাদের সবাইকে এই বইটি নিঃসন্দেহে আলোর পথ দেখাবে, গাইড করবে, তা নির্দ্বিধায় বলা যায়। কুখ্যাত গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনে, মানুষের ভোটাধিকার হরণসহ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইনকেও বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়েছে। ফ্যাসিবাদের অবসানের প্রাথমিক কারণ হলো, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে প্রতিদিন শত শত মানুষ হত্যা। এ সময় প্রায় দুই সহস্র মানুষকে গুলি করে হত্যা এবং ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। 
এ আন্দোলনের সূচনায় রয়েছে, গোটা জাতির পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, যার পেছনে রয়েছে শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনামলজুড়ে ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা হরণ, বিরোধী দল ও ভিন্নমতাবলম্বীদের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও পুলিশি নিপীড়ন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ঋণের নামে ব্যাংক লুণ্ঠন, সরকার ঘনিষ্ঠদের ব্যাপক দুর্নীতি ও অর্থপাচার, সচিবালয় থেকে বিচার বিভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক দলীয়করণ, দ্রব্যমূল্যের ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি, ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি কারণে সৃষ্ট গভীর জন-অসন্তোষ। 
এইসব কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানুষের জমানো সীমাহীন ক্ষোভ থেকে দেশের সাধারণ জনগণ ছাত্রদের আন্দোলনের সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে। ছাত্রদের আন্দোলনের ৯ দফা থেকে ১ দফায় রূপলাভ করে। সমন্বয়কদের সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করা ঐতিহাসিক ভূমিকা। ৫ আগস্ট ২০২৪ সোমবার ভোর থেকেই শাহবাগে জমায়েত হয়ে গণভবন অভিমুখে ছাত্র-জনতা মার্চ শুরু করে। সেই বিবরণ এবং ছাত্র-জনতার মনে কথাগুলো এ বইতে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আলোচিত এ বইটি প্রকাশ করেছে, ‘৩৬ শে জুলাই থিংকট্যাংক গ্রুপ’ ঢাকা, লন্ডন, ওয়াশিংটন। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বইটি অনবদ্য ভূমিকা রাখবে।
লেখক : সাংবাদিক

প্যানেল/মো.

×