ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

গণতন্ত্র ও উন্নয়ন

ড. রেবা মন্ডল

প্রকাশিত: ২০:১৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

গণতন্ত্র ও উন্নয়ন

.

গণতন্ত্র জনগণের উন্নয়নের অধিকার পারস্পরিকভাবে সম্পৃক্ত।  গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যতীত একটি দেশে জনগণের উন্নয়নের অধিকার প্রতিষ্ঠা অসম্ভব। আব্রাহাম লিঙ্কন গণতন্ত্র বলতে সে সরকারকে বুঝিয়েছেন যে সরকার জনগণের, জনগণের দ্বারা পরিচালিত এবং জনগণের কল্যাণে নিয়ন্ত্রিত (Government of the people, by the people and for the people) লিঙ্কনের ভাষা থেকে এটাই সুস্পষ্ট যে, একটি রাষ্ট্রে সরকার যখন জনগণের সার্বিক কল্যাণ উন্নয়নে পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয় তখন সে রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক সরকার বিরাজমান রয়েছে বলে গণ্য হয়। প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র হলো একটি আদর্শিক স্বরূপ, যার ফলে একটি রাষ্ট্রে বা সমাজে ব্যক্তিসত্তার ওপর গুরুত্ব আরোপ, স্বেচ্ছামূলক সংঘের কার্যাবলী ভূমিকার স্বীকৃতি, জনসাধারণের মধ্যে সহনশীলতা-সহমর্মিতা-প্রীতির পরিবেশ গঠন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে অন্যের সঙ্গে সহযোগিতা, পারস্পরিক নির্ভরশীলতার মেলবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, সকল মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন সমমর্যাদার অধিকারী বলে গণ্য হওয়া, সমাজের প্রতিটি সেক্টরে গুরুত্ব আরোপ, কল্যাণমূলক উদ্দেশ্য এবং তার বাস্তবায়নের মধ্যে গভীর যোগসূত্র স্থাপন হয়। গণতন্ত্রের বিকাশ যেখানে ঘটবে সেখানে ব্যক্তির জনগণের উন্নয়নের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এটিই গণতন্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গণতান্ত্রিক বিকাশ ব্যক্তির-জনগণের উন্নয়ন।

১৯৮৬ সালের ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে Declaration on the Right to Development সংক্ষেপে DRD গৃহীত হয়। তার অনুচ্ছেদ ()- বলা হয়েছে– ‘Everyone is entitled to participate in, contribute to and enjoy economic, social, cultural and political development in which all human rights and fundamental freedoms can be fully realized.বিশ্বনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকার উক্ত ঘোষণা (DRD-1986), United Nations Development Programme, 1965 (UNDP), United Nations Industrial Development Organizations, 1966 (UNIDO)সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক ঘোষণা সংস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানের আলোকে কোনোরকম বৈষম্য ছাড়াই ব্যক্তি সমগ্র জনগণের দোরগোড়ায় অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক উন্নয়নের অধিকার ভোগের বিষয়টি পৌঁছে দিচ্ছেন বিরামহীনভাবে। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশ জাতির সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আর ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার নির্বাচনী ইশতেহার পূরণসহ অর্থাৎ, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণাবাস্তবায়নসহ বহুমুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করেছে। ক্রমাগতভাবে কর্মপ্রক্রিয়া কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ বর্তমান সরকার জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য MDG- নির্ধারিত ৮টি লক্ষ্যই পূরণ করেছে এবং SDG-তে যে ১৭টি লক্ষ্য রয়েছে তার অনেকগুলোতে ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। বিগত বছরে বাংলাদেশ GDP Per Capita (যা ছিল পাকিস্তানের অর্ধেক এবং ভারতের শতকরা ৭৫ ভাগফিগার পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। গার্মেন্টস সেক্টরে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে।

বিজ্ঞজনদের ধারণা, শেখ হাসিনা সরকার দেশে অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, লেখক কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি ডা. এস মালেক তাঁর Stream of Thoughts part- III-তে লিখেছেন-  ‘The global survey conducted by HSBC under a title :  The World in 2030 reveals that the position of Bangladesh in the global economy would be 26th from the present 42ndউক্ত বইতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন যে, She has taken the country to a new height through huge development.

বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে যশোরে টেকনোলজি পার্ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। পরমাণু থেকে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ হবে বিষয়টি দেশের জন্য অত্যন্ত আনন্দের গর্বের। ২০১৭-এর জুন বাংলাদেশের তৈরি প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়। বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু- মহাকাশে পাঠানো হয় ২০১৭ সালে। বৈজ্ঞানিক এসব কার্যক্রম গ্রহণ করে দেশের জেলা, উপজেলা গ্রামগঞ্জের মানুষের যেমন বিজ্ঞানভিত্তিক চেতনা সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থান বাড়ছে বেকার সমস্যা হ্রাস পাচ্ছে।  এসবই প্রধানমন্ত্রী   তাঁর সরকারের গণতান্ত্রিক দূরদর্শিতা চৌকস নেতৃত্বের ফসল।

বিগত বিএনপি-জামায়াত আমলে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল (পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে যাত্রীবাহী বাসে সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতি), বর্তমান সরকারের আমলে সে অবস্থা কখনো হয়নি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা সরকার দেশের  অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ আইন বিচার বিভাগকে গণতান্ত্রিক করার লক্ষ্যে সংবিধানের যে ১৬তম সংশোধনী এনেছে তাও গণতান্ত্রিক উন্নয়নের একটি সাংঘাতিক দৃষ্টান্ত। সরকার দেশের কল্যাণে, জনগণের মঙ্গল যাবতীয় উন্নয়নেকার্যকরণসম্পর্কের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সময় উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে। আইন, শাসন বিচার বিভাগকে মূল সংবিধানের আলোকে ঢেলে সাজাচ্ছে প্রলিফিক সরকার, যা উন্নয়নের মূল ধারাকে গতিশীল বেগবান করছে।

গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিকাশের অন্যতম পূর্বশর্ত শিক্ষা বিস্তার। বর্তমানে দেশে শিক্ষার হার ৭৪% জনসাধারণের ব্যক্তিত্ব, মনুষ্যত্ব, সততা-নিষ্ঠা-দায়িত্বশীলতা সৃষ্টিতে শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করে শিক্ষাকে সর্বস্তরে ছড়িয়ে দিতে শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে। নারী শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বস্বরূপ প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত উপবৃত্তি চালু করেছে। এক জরিপ থেকে জানা যায়, ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যা ছিল ৬১%, তা বর্তমানে ৯৭.% আধুনিক  জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য হ্রাস পাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এক যুগের ব্যবধানে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমে বাংলাদেশ ৪১ ধাপ এগিয়েছে। দেশে মানুষের গড় আয়ু বর্তমানে ৭৩. বছর, যেখানে ভারতে ৬৮ বছর আর পাকিস্তানে ৬৬ বছর।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ ()- সংবাদপত্রের স্বাধীনতা স্বীকৃত সংরক্ষিত হয়েছে এবং সাংবাদিকবান্ধব শেখ হাসিনা দেশে সংবাদ পরিবেশনে ১০০% স্বাধীনতা দিয়েছেন। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে গেছে। যার অনেক কারণের মধ্যে জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তা, উন্নয়নের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ বাস্তবায়ন। বিশ্বনেতা শেখ হাসিনার হাতে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, তথ্য কমিশন গঠন হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে সকল সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সাহায্য অনুদান পাচ্ছেন। গণতন্ত্রের ধারক আমাদের শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন চালুর কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন যাতে সাংবাদিকরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। সরকার সমাজের বিশেষ গোষ্ঠী শ্রেণির ঊর্ধ্বে সমগ্র জনগণের স্বার্থে শাসনকার্য বিরামহীনভাবে পরিচালনা করে চলেছে। রাষ্ট্রে গণতন্ত্র বিকাশের মৌলিক একটি দিক হলো জনগণের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের অনুসারীদের মিলনক্ষেত্র বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাবাংলাদেশ। এখানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ধর্মীয় মৌলবাদ যখনই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, অসাম্প্রদায়িক নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখনই জিরো টলারেন্স নীতিতে তা নির্মূল করেছেন। জনগণের আস্থা অর্জন করে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় ২০২২ সালে ধাপ এগিয়ে  ৯৪তম অবস্থানে এসেছে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তান এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন অবস্থান করছে।

সুখের পরিমাপক হিসেবে রয়েছে একটি দেশের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা-উদারতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মোট দেশজ উৎপাদন- জিডিপি, গড় আয়ু দুর্নীতি দমনের মতো বিষয়। প্রকৃতপক্ষে এসব মানদন্ডে উন্নীত হওয়ার অর্থ হলো গণতন্ত্রের বিকাশ উন্নয়ন ঘটানো। যেটি শেখ হাসিনা সরকারই বাংলাদেশে সম্ভব করেছে। একটি কথা না বললেই নয় যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উদ্্যাপনের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন, যা গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত জনকল্যাণ। দেশের গৃহহীন বিশাল জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করেছেন, যা আন্তর্জাতিক মহলে ছিন্নমূল অসহায় মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। দেশীয় অর্থায়নে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ কাজ অবিরাম গতিতে এগিয়ে চলছে।

জনগণের উন্নয়নের সব পথ খুলে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার। মুক্তিযুদ্ধ ভাতা, বয়স্ক ভাতাসহ হেন ভাতা নেই যা দূরদর্শী শেখ হাসিনা সরকার জনগণকে দিচ্ছে না। সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি জাতির কৃতজ্ঞতা প্রকাশস্বরূপ সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষণ করেছেন। যা বাঙালি জাতিকে কৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে গড়ে তুলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কৃতজ্ঞ হওয়ার দীক্ষায় দীক্ষিত করছে, যা ইতিবাচক ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃষ্টিতে সহায়ক। উল্লেখ্য, জাপানে শিশুদের ১০ বছর বয়স পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হয়। আমাদের সরকারও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈতিক শিক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয় যে, আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার দেশের প্রতিবেশ পরিবেশের ভারসাম্য এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে ডজনখানেক আইনকে কার্যকর বাস্তবমুখী করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনকে মানবজাতি অন্যান্য প্রাণীকুলের জীবন অভিযোজনকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে যে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা প্যারিসের জলবায়ু সম্মেলন থেকে বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে।

জাতির সাংস্কৃতিক বন্ধ্যত্ব দূর করতে নিজস্ব জাতীয় তথা বাঙালি সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসবই আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী প্রাজ্ঞ নেতৃত্বগুণের বহির্প্রকাশ। এভাবে দেশের সব ক্ষেত্রে এত সব উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে উন্নয়নের মানসপ্রতিমা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুশাসন  (Good Governance) পরিচালনার ইতিবাচক ফল হিসেবে। উল্লেখ্য, উন্নয়নমূলক কাজগুলো সরকারকে সম্পাদন করতে বাধ্য করা যায় না। অর্থাৎ, সংবিধানের রাষ্ট্র পরিচালনায় মূলনীতি অধ্যায়ে (দ্বিতীয় ভাগ) যে অধিকারগুলো উল্লেখিত হয়েছে সেগুলোProgramme Rightsকিংবা সেগুলোকেBean Ideals of the Constitutionবলা হয়। যেগুলোর ভায়োলেশন সরকার ঘটালেও সংবিধানের অনুচ্ছেদ () অনুযায়ী সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা দায়ের করা যায় না কিংবা কোনো প্রতিকারও পাওয়া যায় না।

আমাদের বিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকার বিষয়টি জেনেও নিজ দায়িত্বে দেশ জাতির প্রয়োজনে উন্নয়নমূলক অসংখ্য কাজ একের পর এক সুসম্পন্ন করে যাচ্ছে। বিশেষ করে দেশের সকল নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে সম্প্রতি চালু হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। আমরা গর্বিত জাতি যে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা অর্থাৎ এরকম একজন Leader of Speaking Order-কে সরকারপ্রধান হিসেবে পেয়েছি। ভবিষ্যতেও তাঁকে আমরা সরকারপ্রধান হিসেবে দেখতে পাব বলেই প্রত্যাশা রাখি।

লেখক : অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া

×