
স্বাধীনতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম মিল্লাত হোসেনকে নিজ চেম্বার থেকে ধরে নিয়ে মারধর করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে সোপর্দ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীরা।
সোমবার রাত আটটার দিকে শহরের ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মার্কেটের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তিনি বগুড়া হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবদুল্লাহ আল সানীর নেতৃত্বে সোমবার রাতে প্রায় ১৫-২০ জন নেতাকর্মী এস এম মিল্লাতকে জোরপূর্বক চেম্বার থেকে বের করে এনে শহরের বিভিন্ন সড়ক ধরে টেনে-হিঁচড়ে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায়। এ সময় তাঁকে মারধরও করা হয় এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুল্লাহ আল সানী বলছিলেন, “আমি ছয় মাস আগে আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, এখন সময়মতো ধরে ফেলেছি।” তিনি অভিযোগ করে বলছিলেন, এস এম মিল্লাত ১৫ বছর ধরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির কর্মীদের দমন করেছেন, চাকরি দেওয়ার নামে বহু মানুষের নিকট থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে অর্থসহায়তা দিয়ে পুনর্বাসনে ভূমিকা রেখেছেন।
বগুড়া ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার বলেন, “রাত সোয়া আটটার দিকে কিছু লোক এস এম মিল্লাতকে এনে ডিবি কার্যালয়ে সোপর্দ করে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”
এদিকে, বগুড়া সদর থানার ওসি এম এম মঈনুদ্দিন জানান, “এস এম মিল্লাতের নামে থানায় কোনো মামলা নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আফরোজা