ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২

দখলের স্থাপনায় শ্রীহীন কুয়াকাটা, পর্যটকের ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ৬ মে ২০২৫; আপডেট: ০৯:৪২, ৬ মে ২০২৫

দখলের স্থাপনায় শ্রীহীন কুয়াকাটা, পর্যটকের ভোগান্তি

ছবিঃ সংগৃহীত

কুয়াকাটা সৈকত এলাকায় ফের দখল সন্ত্রাস চলছে। রাজনৈতিক দলের প্রভাব বিস্তার করে সৈকত লাগোয়া চৌরাস্তার আশপাশে অন্তত ১০০ ছোট বড় স্থাপনা তোলা হয়েছে। একেকটি স্থাপনা ৫০ হাজার থেকে শুরু করে এক-দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে দোকান করার জন্য আবার হস্তান্তর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে যার মতো সৈকতের বেলাভূমে ছাতা-বেঞ্চি বসিয়েছে। পর্যটকদের ওয়াকিং জোন পর্যন্ত দখল করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে কুয়াকাটা সৈকত এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। চলছে অরাজক পরিস্থিতি। যে যার মতো করে চালাচ্ছে দখল সন্ত্রাস।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াকাটা চৌরাস্তার পূর্ব দিকে বেড়িবাঁধের বাইরে ছোট বড় অন্তত ১২ টি স্থাপনা তোলা হয়েছে। একইভাবে চৌরাস্তা থেকে বীচের দিকে যেতে ডানে-বামে পাশে ১৫ টি স্থাপনা তোলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক একাধিক দোকানি জানান, এসব স্থাপনা এক-দেড় লাখ টাকার বিনিময় দোকান করার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে। 

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রাজনৈতিক দলের  পদ-পদবী ব্যবহার করে একটি প্রভাবশালী মহল  এসব স্থাপনা তুলেছেন। একইভাবে আবার চৌরাস্তা থেকে পশ্চিম দিকে সড়ক ঘেঁষে যে যার মতো ছোট ছোট অসংখ্য স্থাপনা তুলেছে। ফলে পর্যটন এলাকা শ্রীহীন হয়ে গেছে । বস্তির মতো হয়ে গেছে । টিন কাঠ ছালা দিয়ে পর্যন্ত তোলা হচ্ছে স্থাপনা। গত তিন মাস ধরে সুযোগ বুঝে চলছে এমন দখল সন্ত্রাস। রাস্তাঘাট পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না দখলের ছোবল থেকে। হাঁটাচলা করতে ভোগান্তি হচ্ছে। বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিগত সরকারের সময় বিভিন্ন নামে দখল করে তোলা এসব অবৈধ স্থাপনা অনেক আগে অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু আবার স্থাপনা তোলার কারণে পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য হানি ঘটেছে। পাশাপাশি বেহাত হচ্ছে সরকারি খাস জমি। 

গত অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এসব স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। তখন উচ্ছেদ অভিযান কালে দখলদার চক্র সন্ত্রাসী হামলা পর্যন্ত চালায়। এরপর থেকে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান ঝিমিয়ে গেছে । আবারো তিন মাস ধরে কুয়াকাটায় শুন্য পয়েন্টসহ আশপাশে ফ্রী স্টাইলে নতুন করে দখল দৌরাত্ম চলে আসছে। পর্যটকের চলাচলের রাস্তার দুই পাশে পর্যন্ত দোকান পাট বসানো হয়েছে।  

পর্যটকসহ কুয়াকাটার পর্যটন বান্ধব মানুষ পর্যটন এলাকার সৌন্দর্য রক্ষায় এবং পর্যটকের স্বস্তির জন্য এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো রবিউল ইসলাম জানান, কুয়াকাটায় পর্যটকের স্বস্তিদায়ক পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষায় সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম শীঘ্রই শুরু করা হবে।

মুমু

×