
ছবি: সংগৃহীত।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। ভারতের শীর্ষ এক সেনা কর্মকর্তা প্রকাশ্যে পাকিস্তানের পুরো ভূখণ্ডে হামলার হুমকি দিয়েছেন। ১৯ মে দেশটির সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আর্মি এয়ার ডিফেন্স বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের আইভান ডি কুনহা বলেন, “পাকিস্তান জেনারেল হেডকোয়ার্টার (জিএইচকিউ) রাওয়ালপিন্ডি সরালেও তারা নিরাপদ নয়। পাকিস্তানের পুরো অঞ্চলই ভারতের টার্গেটে রয়েছে।”
তিনি জানান, ভারত আধুনিক প্রযুক্তি, অস্ত্র এবং কৌশলে পাকিস্তানের যেকোনো স্থাপনায় গভীরভাবে আঘাত হানার সক্ষমতা রাখে। ডি কুনহা বলেন, “আমরা চাই না যুদ্ধ হোক, তবে যদি প্রয়োজন হয়, ভারত দেশের যেকোনো অঞ্চল থেকেই হামলা চালাতে প্রস্তুত।”
ভারতের সাম্প্রতিক অভিযানে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। ৭ মে রাতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ঘাঁটি ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানা হয়। ভারত জানায়, জম্মু-কাশ্মীরের বেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এ অভিযান চালানো হয়।
ভারত দাবি করে, তারা লম্বা পাল্লার ড্রোন, লুইটারিং মিউনিশন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অস্ত্র ব্যবহার করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালায়।
অভিযানের জবাবে পাকিস্তানও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ইসলামাবাদ দাবি করেছে, তারা ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফায়েল, দুটি মিগ-২৯, একটি সুখোই ও একটি মিরাজ ২০০০। এই দাবি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া পাকিস্তান চারদিনে ভারতীয় সীমান্তে প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ ড্রোন পাঠায়। তবে ভারত দাবি করেছে, তাদের সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় সব ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরণের প্রকাশ্য হুমকি ও পাল্টা হামলা উপমহাদেশে আরেকটি সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও উভয় দেশের সামরিক শক্তি প্রদর্শন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।
নুসরাত