ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

বিপ্লব ঘোষ, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

প্রকাশিত: ০১:১৭, ২১ মে ২০২৫; আপডেট: ০১:১৯, ২১ মে ২০২৫

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসুতি রানী আক্তারের একটি ছেলে নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। প্রসুতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। 

ঐ প্রসূতি দোহার পৌরসভার দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল হোসেনের স্ত্রী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি দুই দিন আগেও ‘আমার স্ত্রী রানী আক্তারকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছি। আজ বেলা ১০টার দিকে আমার স্ত্রীর প্রসব ব্যাথা উঠে। দ্রুত তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে হাসপাতালে সহকারী সার্জন ডা. শিউলি আক্তার দায়িত্বে ছিলেন। তারই অপারেশন করার কথা ছিল। কিন্ত তিনি ৪ ঘন্টা পর হাসপাতালে আসেন। পরে প্রসূতিকে সিজার করতে অপারেশন রুমে নিয়ে যান। 

পরে ডাক্তার শিউলি সেখান থেকে জানান, প্রসূতি ও গর্ভের সন্তানের হার্ডবিট পাওয়া যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে নবজাতকের মৃত্যু ঘোষণা করেন ঐ চিকিৎসক। চিকিৎসকের অবহেলা করে আমার মূমুর্ষ স্ত্রীকে ৪ ঘন্টা ফেলে রেখেছেন। এরপর জানান গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে। আমি এর বিচার চাই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সূত্র জানায়, ডা. শিউলী আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ল্যাব কেয়ার, দোহার জেনারেল হাসপাতাল ও মুক্তি ক্লিনিকে প্রাইভেটে রোগী দেখেন ৬শত টাকা ভিজিটে। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নিয়মিত প্রাইভেটে রোগী দেখেন। এর জন্যই তিনি সময় মতো আসতে পারেননি।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রবিউল ইসলাম কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রাইভেট ক্লিনিকে বসার কথা এড়িয়ে গিয়ে বলেন, রোগীর আরও ৩ দিন আগেই ডেলিভারি তারিখ ছিলো। তারা অনেক দেরী করে হাসপাতালে এসেছেন। সিজারের আগে ও পরে আমরা বাচ্চাটির হার্টবিট পাইনি। বাচ্চা আগেই মারা গেছে।

জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনিসুর রহমান জানান, দ্বিতীয়তলায় ডেলিভারী রুমে একটি ছেলে নবজাতকের মৃত্যুর খবর তিনি পেয়েছেন এবং তা তিনি রেজিষ্টারে এন্ট্রি করেছেন। সিজারের দায়িত্বে ছিলেন ডা. শিউলী আক্তার।

ডা. শিউলী আক্তারের সাথে তার মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম এ বিষয়ে বলেন, এ ঘটনায় নবজাতকের অভিভাবক থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

আলীম

×