
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্ববিখ্যাত স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই তথ্য নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব।
ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, সোমবার বিকেলে ফোন কলে স্টারলিংকের পক্ষ থেকে তাকে বিষয়টি জানানো হয় এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের "এগ স্যান্ডেল" প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্রাথমিকভাবে স্টারলিংক বাংলাদেশে দুইটি প্যাকেজ চালু করেছে— ‘স্টারলিংক রেসিডেন্স’ ও ‘রেসিডেন্স লাইট’।
প্যাকেজ অনুযায়ী মাসিক খরচ রেসিডেন্স প্যাকেজে প্রায় ৬,০০০ টাকা, আর রেসিডেন্স লাইট প্যাকেজে ৪,২০০ টাকা। তবে এককালীন যন্ত্রপাতি বাবদ ৪৭,০০০ টাকা খরচ হবে। ফয়েজ আহমদ জানান, এখানে ডেটা বা স্পিডের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই, ব্যবহারকারী ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন থেকেই স্টারলিংকের সেবা প্রি-অর্ডার করতে পারবেন, এবং আগামী ৯০ দিনের মধ্যেই সেবার পূর্ণাঙ্গ সম্প্রসারণ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রত্যাশা অনুযায়ী এটি বাংলাদেশের উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করেন ফয়েজ আহমদ। তিনি বলেন, “খরচ কিছুটা বেশি হলেও এটি প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের টেকসই ইন্টারনেটের একটি বিকল্প হয়ে উঠবে।”
এছাড়া তিনি আশা প্রকাশ করেন, যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ফাইবার অপটিক কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট পৌঁছায়নি, সেখানে স্টারলিংক কার্যকর সমাধান দিতে পারবে। এর ফলে এনজিও, ফ্রিল্যান্সার, উদ্যোক্তা এবং দূরবর্তী এলাকার ব্যবহারকারীরা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
মারিয়া