ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উপযুক্ত দাম নিয়ে চিন্তিত ক্রেতা-বিক্রেতা

চট্টগ্রামে ১৪ হাজার খামারে প্রস্তুত কোরবানিযোগ্য পশু

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২২:২৫, ২০ মে ২০২৫

চট্টগ্রামে ১৪ হাজার খামারে প্রস্তুত কোরবানিযোগ্য পশু

চট্টগ্রামে ১৪ হাজার খামারে প্রস্তুত কোরবানিযোগ্য পশু

চট্টগ্রামে এবার ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য খামারি ও বেপারীরা প্রায় ৮ লাখ ৬১ হাজার পশু প্রস্তুত করেছে। তবে চাহিদা ধরা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ। নগরী ও উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার খামারে কোরবানিযোগ্য পশু লালন-পালন করা হয়েছে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় চট্টগ্রামে সামান্য পরিমাণ ঘাটতি থাকলেও আশপাশের জেলা থেকে আনা পশু দিয়েই ঘাটতি মেটানো সম্ভব হবে। বরং চট্টগ্রামের পশুর চাহিদার চেয়েও দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন খামারি ও ক্রেতারা।
চট্টগ্রামে বর্তমানে অসংখ্য ছোট-বড় খামার রয়েছে। এগ্রো ফার্মে বাণিজ্যিকভাবেই কোরবানিতে বিক্রির জন্য গরু, মহিষ প্রস্তুত করা হয়। এজন্য স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি এখন চট্টগ্রাম শহরে ও গ্রামে কোরবানিযোগ্য পশু মজুদ আছে। বরং খামারিরা বলছেন, চোরাইপথে মিয়ানমার ও ভারত থেকে গরু আনা বন্ধ করতে পারলে অবশ্যই খামারি ও বিক্রেতারা লাভবান হবেন। 
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রতিবছরই চট্টগ্রামে অল্প সংখ্যক পশু চাহিদার তুলনায় ঘাটতি থাকে, যা আশপাশের জেলা থেকে যোগান দেওয়া হয়। কারণ চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দারা এবং বনেদী পরিবারের লোকজন আলাদা আলাদভাবে এখন কোরবানি দেন। এজন্য উত্তরবঙ্গ থেকে বিপুল পরিমাণ পশু নিয়ে আসে বেপারীরা। ফলে চাহিদার তুলনায় প্রতিবারই হাটেবাজারে বিপুল পশু দেখা যায়। এজন্য খুব সমস্যায় পড়তে হয় না। এবারও যে পরিমাণ সংকট হরে তা নিরসন হয়ে যাবে।
তথ্যমতে, ২০২৪ সালে জেলায় ৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৬৮টি পশু কোরবানি হয়েছে। এবার কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। এর মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৮২টি কোরবানি পশু। এর মধ্যে রয়েছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৩টি গরু, ষাঁড়, বলদ, গাভী ও মহিষ। বাকিগুলো ভেড়া ও ছাগল। 
প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, সন্দ্বীপে এবার সবচেয়ে বেশি পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে। আর বোয়ালখালীতে সবচেয়ে কম পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে বরাবরের মতো এবারও খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুরসহ আশপাশের ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত পশু চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করতে আনা হবে।

বেপারীরা কোরবানির এক সপ্তাহ আগে থেকেই চট্টগ্রামের বড় হাটগুলোতে পশু আনবে। তবে পরিবহন ব্যয়, ওষুধ খরচ এবং পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে দাম নিয়ে শঙ্কিত খোদ খামারিরা। তারা বলছেন, কোরবানিযোগ্য পশু লালন-পালনে যে ব্যয় হয়েছে তা তুলে আনাই এবার চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে কোরবানিদাতা প্রতিবারের মতো এবারও শঙ্কিত বেশি দামের বিষয়ে।

তথ্যমতে চট্টগ্রাম মহানগরী ও ১৫ উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১৪ হাজার খামার রয়েছে। বিশেষ করে কর্ণফুলী, আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, সীতাকু-, ফটিকছড়িতে সবচেয়ে বেশি খামার। উপজেলাগুলোর খামারগুলোতে  কোরবানির জন্য বেশি পশু লালন-পালন করা হয়ে থাকে।

×