ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৩০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ২১ মে ২০২৫

৩০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

ভিক্টিম মো মমিন (২০) রাকিব (১৯) দুই বন্ধু। রাকিব পরিচ্ছন্ন কর্মী ও মমিন দোকান কর্মচারী। গত ১২ তারিখে সন্ধ্যার রাকিব ও ভিক্টিম মমিন ও আরেক বন্ধু আলামিন মিলে এজিবি কলোনি ও আল হেলাল জোনের আম গাছ থেকে আম পেড়ে এজিবি কলোনি কাঁচা বাজারে ৩৯০ টাকায় বিক্রি করে। তিন ভাগের একভাগ ১৩০ টাকা আলামিন কে দিয়ে দিলে আলামিন চলে যায়, অবশিষ্ট ২৬০ টাকার মধ্যে থেকে রাকিব ৮০ টাকা খরচ করে ফেলে। ১২ তারিখ রাতে মতিঝিল পোস্টাল অফিসার্স কলোনির সামনে রাস্তার উপর ময়লা রাখার ডাস্টবিনের পাশে রাকিব ভিক্টিম মমিন কে আম বিক্রির ১০০ টাকা দেয়। ১০০ টাকা পেয়ে মমিন আরো ৩০ টাকা দাবি করলে রাকিব ও মমিনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

বাকবিতণ্ডা শেষে দুজন বাড়ি চলে যায়। ১৩ তারিখ সকালে মতিঝিল পোস্টাল অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে ময়লা রাখার ডাস্টবিনের পাশে দু'জনের দেখা হলে আবার তাদের মধ্যে ঐ টাকা নিয়ে তর্ক হয়। তর্কের মধ্যে ভিক্টিম মমিন, আসামির মা বোনকে উদ্দেশ্য  করে গালিগালাজ করলে রাকিব, মমিন কে থাপ্পড় মারে।  তর্কের এক পর্যায়ে ভিক্টিম মমিন, আসামি রাকিবকে ইট দিয়ে আঘাত করার প্রস্তুতি নিলে রাকিব তার হাতে থাকা আম কাটার ছুরি দিয়ে মমিনের গলার নিচে ডান পাশে মারাত্মক গুরুতর জখম করে। আঘাত পেয়ে ভিক্টিম মমিন মাটিতে পড়ে গেলে রাকিব রিকশা ডেকে এনে রিকশা যোগে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।  

কর্তব্যরত চিকিৎসক মমিন কে মৃত ঘোষণা করলে রাকিব কৌশলে পালিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ চলে যায়। মতিঝিল থানার এসআই মো জুলহাস উদ্দিন লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভিক্টিমের বাবা ফিরোজ শেখ লাশ গ্রহণ করে ও মতিঝিল থানায় আসামি রাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার নং ১৬ তাং ১৪/০৫/২৫ ইং ধারা :৩০২ পেনাল কোড -১৮৬০।  মামলা রুজুর পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো জুলহাস উদ্দিন এর সমন্বয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মতিঝিল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম মাঠে নামে।

ঘটনার ৭ দিনের মধ্যে মঙ্গলবার (২০ মে) মামলার একমাত্র আসামি রাকিব হোসেন (১৯) পিতা মোঃ নেওয়াজ সাং বাশাটি থানা গৌরীপুর জেলা ময়মনসিংহ বর্তমান ঠিকানা শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনী থানা শাহজাহানপুর জেলা ঢাকা থেকে মতিঝিল থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামি রাকিবকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আসামি রাকিব আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

রিফাত

×