
ভারতের মুখোশ খুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্লগার, লেখব, অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।
"তারা মুম্বাই চাইলে, আমরা তাদের বালোচিস্তান ছিনিয়ে নেব" — ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নাম উল্লেখ করে স্যোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন পিনাকী পিনাকী ভট্টাচার্য।
আজ মঙ্গলবার (২০ মে) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ মন্তব্য করেন পিনাকী।
পিনাকীর পোস্টটি জনকণ্ঠের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল।
"তারা মুম্বাই চাইলে, আমরা তাদের বালোচিস্তান ছিনিয়ে নেব" — ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।
এই ভিডিওটা কোনো গুজব না। কোনো গোপন ফুটেজ না। এটা খোলাখুলি ইউটিউবে পড়ে আছে আজ প্রায় এক দশক ধরে। আর তাতে ভারতীয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অজিত ডোভাল প্রকাশ্যে বলছেন:
"We know how to tackle Pakistan…If Pakistan does another Mumbai, they will lose Balochistan."
এই বাক্যগুলো কেবল হুমকি নয়—এটা এক রাষ্ট্রের আরেক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা। এটা ভারতের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের নিজের মুখে স্বীকারোক্তি।
ভারত কি শুধু কাশ্মীর দখল করে বসে আছে? না, তারা পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বালোচিস্তানে বিদ্রোহ উসকে দিচ্ছে, অস্ত্র ঢুকাচ্ছে, টাকার জোগান দিচ্ছে, জঙ্গিদের ট্রেনিং দিচ্ছে—এবং এসবের স্ট্র্যাটেজি এসেছে সরাসরি ভারতের প্রধান নিরাপত্তা উপদেষ্টার টেবিল থেকে।
মার্চ মাসে পাকিস্তানে এক ট্রেনের উপর বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি বিদ্রোহী জঙ্গী সংগঠন সন্ত্রাসী হামলা করে ১৮ জন সেনাকে হত্যা করে। পাকিস্তান দাবী করে যে ভারতের সমর্থনেই এই জঙ্গী সংগঠন নিয়মিত সন্ত্রাসী হামলা করে আসছে।
যারা ভাবে ভারত "গান্ধীজীর অহিংস নীতি"তে চলে, তাদের জন্য এই ভিডিও থাপ্পড়ের মতো।
এই ভিডিওই প্রমাণ করে, ভারত শুধু সীমান্তে নয়, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে, বালোচিস্তানের মাটিতে রক্ত ঝরাচ্ছে। এবং সেই রক্ত ঝরানোর পরিকল্পনা, নির্দেশ ও অনুমোদন দিয়েছে ভারত রাষ্ট্র নিজে।
এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এক দেশ কর্তৃক অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জ্বলজ্বলে স্বীকারোক্তি।
যারা আজ ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের দমন-পীড়ন দেখে চিৎকার করছে, তাদের উচিত এই ভিডিও দেখে প্রশ্ন তোলা:
ভারত যদি বালোচিস্তানে এই রকম নোংরা যুদ্ধ চালায়, সেটা কি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ নয়?
এই ভিডিও থাকলে আর কোনো প্রমাণের দরকার আছে?
ভারতের মুখোশ খুলে গেছে। বালোচিস্তানে যারা মরছে, তাদের রক্তে ভারতের হাত রাঙানো।
এখন সময় সত্যি বলা, এবার সময় পাল্টানোর।
অজিত দোভালের এই বার্তা ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের এক অকাট্য দলিল।